শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

ট্রাইব্যুনাল ভবনের মূল ছাদ সাময়িক মেরামতের কাজ চলছে \ রোববার থেকে আবার বিচার শুরু

স্টাফ রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ গতকাল বৃহস্পতিবার কোন বিচারিক কাজ হয়নি। ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষের ফলস ছাদ ধসে গত বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর ১০৭ বছরের পুরাতন এই ভবনের মূল ছাদ মেরামত করার কাজ শুরু করেছে গণপূর্ত বিভাগ। শনিবারের মধ্যেই এই সাময়িক মেরামত কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবারের দু'টি মামলাই রোববার স্থানান্তর করা হয়েছে। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হলেও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনালের একটি সূত্র জানায়, মেরামতের যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা সাময়িক। ভবনের মূল ছাদ চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে তা ফলস ছাদে এসে জমা হওয়ার পর ভিজে ভারী হয়ে গত বুধবার তার অংশ বিশেষ ভেঙ্গে পড়ে। বর্তমানে যে সাময়িক মেরামতের কাজ চলছে এটাও অস্থায়ী ব্যবস্থা। এতে মূল ছাদ ধসে পড়ার কোন আশংকা আছে কি-না সে ব্যাপারে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। মূল ছাদ ভেঙ্গে নতুন করে করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সেক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রশ্ন আসবে। তাতেও বেশ কিছু সময় নষ্ট হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার পক্ষপাতি। এজন্য হাইকোর্টের বিচারকরা যেসব ছুটি ভোগ করেন দুই ট্রাইব্যুনালের ৪ জন (২+২) বিচারক হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়া সত্ত্বেও ঐসব ছুটি ভোগ করছেন না। বর্তমানে হাইকোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা সেই ছুটিও ভোগ করতে পারছেন না। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ইতঃপূর্বে ছুটিগুলোও তারা ভোগ করেননি।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষের মূল ছাদ যে সাময়িক মেরামতের কাজ চলছে সেটা শেষ হওয়ার পর স্বাভাবিক কার্যক্রম চলতে পারে। তবে ভারী বর্ষণ হলে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ সকলের জীবনই হুমকির মধ্যে পড়বে। এই ঝুঁকি মাথায় নিয়েই হয়তো চলমান বর্ষা মওসুমে চলবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ