রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই ---------- জিএম কাদের

 

রংপুর অফিস: জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রমযানের আগেই বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ কষ্টে আর অভাবে আছে। তাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে রমযানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। গোটা বাজার গুটিকয়েক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই সিন্ডিকেট থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে জনগণের মুক্তি নেই।  

৪ দিনের সফরে এসে সোমবার রংপুর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলেরা কোন্দল তৈরি করে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। এবার যারা সম্মেলন করেছে তারা জাতীয় পার্টির অংশ নয়। কিছু লোক সুযোগের সদব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। আমি মনে করি সরকার হল ব্যবহারের জন্য যে অনুমতি দিয়ে কিছুটা হলেও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। এভাবে বেআইনী পৃষ্ঠপোষকতা দূর করা না গেলে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হবে। সেই সাথে নিয়ম অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে চলার কথা তা বাধাগ্রস্ত হবে, দেশ ও জাতির ক্ষতি হবে।  দেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতি বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রায় সবগুলো আসনেই প্রার্থী ছিল। নির্বাচন নিরপেক্ষ পরিবেশে হয়নি, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে আমি সংসদের সমাপনী ভাষণে বলেছিলাম। তবে আইনানুগভাবে নির্বাচন হয়ে গেছে। তাই বলা যায় এখানে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হয়নি। কিছু জায়গায় নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও সেখানে অংশগ্রহণমূলক হয়নি, কিছু জায়গায় সরকারি দলের প্রার্থীরা পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়েছে, আবার কিছু জায়গায় ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত ছিল। নির্বাচনের পর রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়েছে।  

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সরকারী দলের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। কারণ নির্বাচন তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। দেশের জনগণের সার্বিক মতামতের প্রয়োজন হচ্ছে না। রংপুরে আমাদের সাংগঠনিক অবস্থা ভাল রয়েছে আমরা নির্বাচনে আছি থাকবো। অংশ না নিলে নির্বাচন কেমন হচ্ছে নিজেরাও জানতে পারতাম না জনগণকেও জানাতে পারতাম না।  

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উৎপল রায়, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ