রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

২৫ মণ কালো মানিকের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা

গুরুদাসপুর (নাটোর) উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামের আমির আলীর কালা পাহাড় গরুটির ওজন ২৫ মণ। ১৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছেন তিনি

গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা : ঈদুল আযহায় বিক্রির জন্য ৯০ হাজার কুরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন গুরুদাসপুরের খামারিরা। উপজেলার অভ্যন্তরে কুরবানি পশুর ৪০ হাজার চাহিদা পূরণ করেও ৫০ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। উদ্বৃত্ত পশু ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। বিগত তিন বছরে করোনাকালিন সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের মধ্যে উপজেলার ভিতরে এবং বাইরের জেলায় হাট বসিয়ে কুরবানির পশু বিক্রি করা যাবে কিনা এ আশঙ্কায় গড়ে উঠেছে অনেক অনলাইন প্লাটফর্ম। এতেও উপকৃত হচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। 

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলায় ৯০ হাজার ৭১৪ টি কুরবানির পশুর মধ্যে ২০ হাজার ৬২৭ টি ষাঁড়, ২ হাজার ৭৪৭ টি বলদ, ৬ হাজার ৩৯৩ টি গাভী, ৮০৭ টি মহিষ, ৫১ হাজার ৬৮০ টি ছাগল, ৯ হাজার ৩৬১ টি ভেড়া ও ৯ টি দুম্বা পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। 

এসব পশুর বাজার মূল্য প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা। গত বছর ৩০ হাজার ৫০০ কুরবানির পশু জবাই হয়েছে।  এবারে ৪০ হাজার পশু কুরবানি হবে বলে আশা করছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। 

উপজেলায় ২৩ হাজার গৃহস্থ খামারি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কালাকান্দর এলাকায় আফতাব শেখ ও বাবলাতলা গ্রামের আবুল কালামের বানিজ্যিক খামারসহ মোট ৮১ টি খামার রয়েছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে রাজশাহী সিটি হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজার এলাকা থেকে কুরবানিযোগ্য পশু কিনে মজুদ করছেন। এতে উপজেলায় কুরবানির পশুর সংখ্যা  লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

উপজেলার চাঁচকৈড়  এলাকার খামারি জুমির মন্ডল ও জামাত মোল্লা বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে ক্ষতিকারক স্টেরয়েড বা হরমন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করে পুষ্টিকর খাবার খৈল, গম, ভূষি, ছোলা ও সবুজ ঘাস খাইয়ে সহজেই গবাদি পশু মোটাতাজা করণ করা হচ্ছে। ভারতীয় পশু আমদানি না হলে তারা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ