পাঠ্যবই ছাপানো নিয়ে অনেকেই কটু কথা বলছেন তবে এগুলো একটাও সত্য নয় : শিক্ষামন্ত্রী
রাবি রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পাঠ্য বই ছাপানো নিয়ে অনেকেই কটু কথা বলছেন। আমরা নাকি ইসলামসহ পর্দা প্রথাকে হেয় করছি। বৌদ্ধ, খৃষ্টান, হিন্দুত্ববাদ, সমকামিতা, পৌত্তলিকতাসহ বিভিন্ন মন্দির, গীর্জা বইয়ে স্থান পেয়েছে। তবে এগুলো একটাও সত্য না।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের শিক্ষক এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন আধুনিক মাস্টারপ্ল্যান। একজন নাগরিককে সবদিক দিয়ে স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠতে হবে। স্মার্ট নাগরিকের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষার। আর স্মার্ট শিক্ষার ফলেই দেশ হয়ে উঠবে উন্নত। আর স্মার্ট শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি বন্ধ করতে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করেছি। শুধু গুচ্ছ পদ্ধতি নয় শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গবেষণার জায়গা। ফলে গবেষণা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকে না। তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে তারা আরও গুণগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, প্রো-ভিসি অধ্যাপক এম. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মো. মুরশেদুল কবীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি স্নাতকবর্ষের ও ছয়টি স্নাতকোত্তর শিক্ষাবর্ষের ১০৩ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, অগ্রণী ব্যাংক এবং ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক ও ডা. এ. কে. খান স্বর্ণপদক দেয়া হয়।