বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

২২৭ রানের বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

নুরুল আমিন মিন্টু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ টসে জিতেছিল, কেন তারা আগে ব্যাট করেনি। এ মাঠে যারা আগে ব্যাট করে, তাদের রান বেশি হয়। এখন শীতকাল মাঠ ভিজে গেলে বল আটকে যায়। এসময় পরে ব্যাট করা দলের পক্ষে কাঙিত রান করা কঠিন হয়ে পড়ে। এটি সহজ হিসাব। এটি কি জানেন না বাংলাদেশ দল? নাকি একটি ম্যাচ তাদের ছেড়ে দিতে হয়েছে-এমন মন্তব্য করেছে মাঠে আগত হতাশ দর্শকরা।  আগে ব্যাট করে ৪০৯ রানের পাহাড় গড়ে তুলে ভারত। পরে ব্যাট করে ১৮২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এতে ২২৭ রানে জিতে সফরকারীরা। হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছিল স্বাগতিকরা। ২২৭ রানের বড় ব্যবধানের হারলো তারা। এর আগে ২০০০ সালে পাকিস্তানের কাছে ২৩৩ রানে হেরেছিল তারা। ২০১৫ সালে প্রথম দুই ম্যাচ জিতার পর শেষ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হলো টাইগারদের। 

সপ্তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লিটন দাস ক্যাচ ফেলে দিলে জীবন পায় বিরাট কোহলি। তখন কোহলির ব্যক্তিগত রান হয়েছে ১। জীবন পেয়ে ১১৩ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন তিনি। তার সঙ্গে আরও মারমুখি হয়ে ২৯০ রানের জুটি গড়ে তুলেন কিষাণ। কিষাণ খেলেন ব্যক্তিগত ২১০ রানের ইনিংস। 

শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ভারতে পক্ষে ব্যাটিংয়ে নামেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। ৪.১ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন শিখর ধাওয়ান। ৮ বলে ৩ রান সাজঘরে ফিরেন তিনি। ১ উইকেটে রান ১৫। ৩৫.৫ ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত হন ঈশান কিষাণ। তিনি করেছেন ডাবল শতক। তার ২১০ রানের ইনিংসটি ১৩১ বলে ২৪ চার ও ১০ ছক্কায় সাজানো। ২ উইকেটে রান ৩০৫।

তিনি আউট হওয়ার আগে কোহলির সঙ্গে কিষাণের জুটিতে রান হয় ২৯০। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে ওয়ানডেতে এখন এটিই সর্বোচ্চ। চট্টগ্রামে ঈশান কিষাণ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটিকেই রূপ দিলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। সেটিও মাত্র ১২৬ বলে। খেললেন এক জীবনের ইনিংস। ওয়ানডে ইতিহাসে এখন এটিই দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি।

আগের রেকর্ডটি ছিল ক্রিস গেইলের। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নবম ডাবল সেঞ্চুরিটি করলেন ঈশান কিষাণ।

একই সঙ্গে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ইনিংসে সর্বোচ্চ রান চার্লস কভেন্ট্রির অপরাজিত ১৯৪ রানের ইনিংসের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন তিনি।

৩৮.১ ওভারে ইবাদত হোসেনের লিটন দাসের তালুবন্দি হয়ে গ্যালারিতে ফিরেন শ্রেয়াস আয়ার। ৬ বলে ৩ রান করেন আয়ার। ৩ উইকেটে রান ৩২০। 

৪০.৫ ওভারে ইবাদত হোসেনের বলে বোল্ডআউট হন লোকেশ রাহুল। ১০ বলে ১ চারের সাহায্যে ৮ রান তুলেন তিনি।  ৪ উইকেটে রান ৩৪৪। 

৪১.১ ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের গ্লাভসবন্দি হন বিরাট কোহলি। ৯১ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কার সাহায্যে ১১৩ রান নিয়েছেন তিনি। ৫ উইকেটে রান ৩৪৪।

এতে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭২তম সেঞ্চুরি অর্জন করেন বিরাট কোহলি। এর আগে ২০১৯ সালের আগস্টে সর্বশেষ ওয়ানডেতে কোহলি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি।

৪৭.২ ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ডআউট অক্ষর প্যাটেল। ১৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করেছেন তিনি। ৬ উইকেটে রান ৩৯০। 

৪৮.৫ ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ডআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়াশিংটন সুন্দর। ২৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রান করেন সুন্দর। ৭ উইকেটে রান ৪০৫। 

৪৯.৪ ওভারে  মুস্তাফিজুর রহমানের বলে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত হন শার্দুল ঠাকুর। ৫ বলে ৩ রান নিয়েছেন তিনি। ৮ উইকেটে রান ৪০৯। 

কুলদিপ যাদব ৩ বলে ৩ রানে ও ২ বলে ০ রানে অপরাজিত ছিলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছেন ভারত। 

বাংলাদেশের পক্ষে উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেন ২ করে, মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১ করে উইকেট পেয়েছেন। 

৪১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামেন বাংলাদেশ দলে দুই ওপেনার এনামুল হক ও লিটন দাস। ৪.১ ওভারে দলীয় ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অক্ষর প্যাটেলের বলে মোহাম্মদ সিরাজের ৭ বলে ১ ছক্কায় ৮ রানে সাজঘরে ফিরেন এনামুল হক। বাংলাদেশের স্কোর ৩৩/১। 

৭.৩ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বলে শার্দুব ঠাকুরের ক্যাচে পরিণত হন লিটন দাস। ২৬ বলে চারটি ৪ ও ১ ছক্কার সাহায্যে ২৯ রান করেন লিটন। ২ উইকেটে রান ৪৭।

১১.৬ ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ডআউট হন মুশফিকুর রহিম। ১৩ বলে ৭ রান নিয়েছেন মুশফিক। ৩ উইকেটে রান ৭৩। 

১৯.৩ ওভারে উমরান মালিকের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ইয়াসির আলী। ৩০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে ২৫ রান করেছেন ইয়াসির। ৪ উইকেটে রান ১০৭।

২২.৬ ওভারে কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ডআউট হন সাকিব আল হাসান। ৫০ বলে ৪ চারের সাহায্যে ৪৩ রান নিয়েছেন সাকিব। ৫ উইকেটে রান ১২৪। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ