মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
Online Edition

মহানবী (সা.) ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আপস করেননি

সিরাতুন্নবী সা. উদযাপন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে রাসূল (সা.)কে নিয়ে সিরাতুন্নবী সা. উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য গজল সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ                            -সংগ্রাম

আরবী মাসের ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ও ওফাত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও হামদ, নাত এবং গজল সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার গার্লস গাইড এ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সীরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন জাতীয় কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, বাস্তবায়নে সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র। কবি আবু তাহের বেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, প্রফেসর ড. এম শমসের আলী, কবি আসাদ বিন হাফিজ, প্রফেসর শামসুল আলম, সঙ্গীতজ্ঞ শেখ জসিম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কবি মোশাররফ হোসেন খান।

প্রধান অতিথি বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, মহানবী মুহাম্মদ (সা) তাঁর পুরো জীবনে দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন সংগ্রাম করে সফল হয়েছেন। দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে মহানবী (সা)-কে তাগুতী শক্তির সীমাহীন রোষানলে পড়তে হয়েছে। তৎকালীন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তাগুতী শক্তি কর্তৃক সীমাহীন অপবাদ, নির্মম পাশবিকতা-জুলুম-নির্যাতন-নিষ্পেষণ এমনকি নিজ জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েও তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ব্যাপারে কোন আপস করেননি।

প্রফেসর ড. এম শমসের আলী বলেন, সামনে রোল মডেল নেই, পৃথিবীর একমাত্র আদর্শ নবী মুহাম্মদ সা.। মিষ্টি খাওয়ার গল্প তো বিজয়ের সময়ে। ভালো কাজ করতে থাকেন, মানুষ ভালোকে খুঁজে নিবে। মুসলমান কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। ইসলামী সংস্কৃতি সব সময়ই মানুষের কল্যাণের পক্ষে কথা বলে। মানুষের আত্মিক উন্নয়নে এ সংস্কৃতির গুরুত্ব আবশ্যকীয়।

সভাপতির বক্তব্যে কবি আবু তাহের বেলাল বলেন, কুরআন নাযিল হয়েছিল রাসূলের প্রতি। আর কুরআনের লক্ষ্যকে বুঝতে হলে রাসূলের জীবনী অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। রাসূল (সা.) এর আগমন হয়েছিল বিশ্বের সর্বাধিক অন্ধকারাচ্ছন্ন, বিভ্রান্ত ও বিপথগামী জাতির মধ্যে। তারা যুদ্ধ বিগ্রহ, হত্যা-নির্যাতন, দুর্বল ও নারীদের প্রতি অত্যাচার, মদ্যপানসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। আর রাসূল (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে একরম একটি মূর্খ জাতিকে সুপথে এনেছেন।

অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে সাংস্কৃতিক সংগঠক মাহবুব মুকুলের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক যাকীউল হক জাকি।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে কবিতা আবৃত্তি করেন দেশবরেণ্য বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী শরীফ বায়জিদ মাহমুদ, গান পরিবেশন করেন শিল্পী নোলক বাবু, শিল্পী তাফাজ্জল হোসেন খান, শিল্পী গোলাম মওলা, শিল্পী হাসনাত আব্দুল কাদের, শিল্পী লিটন হাফিজ চৌধুরী, শিল্পী সালাউদ্দিন, শিল্পী ইয়াকুব আলী খান, শিল্পী আবু বকর সিদ্দিক, শিল্পী মশিউর রহমান লিটন, শিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক, শিল্পী বেলাল খান ও গান পরিবেশন করে শিশু শিল্পী জাহিন ইকবাল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে দলীয় নাতে রাসূল (সাঃ) পরিবেশন করেন মহানগর শিল্পীগোষ্ঠী, মল্লিক একাডেমি, অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদ, সন্দিপন, জাগরণ, নিমন্ত্রণ ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় একাধিক শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল এটিএন বাংলা টেলিভিশন ও প্যানভিশন টেলিভিশন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ