শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

হিজাব সাংবিধানিক অধিকার

ইবনে নূরুল হুদা

দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আমাদের সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের চরম দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী অতিক্রান্ত হলেও দেশে ইসলামচর্চা নির্বিঘœ হয়নি বরং মহলবিশেষ ইসলামী সমাজ-সংস্কৃতি, তাহজিব-তমদ্দুন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা ইসলামী আদর্শ চর্চাকে বিভিন্ন অপবিশেষণে বিশেষিত করে বরাবরই সংকীর্ণ স্বার্থ হাসিলে তৎপর। সে ধারাবাহিকতায় ইসলামের অপরিহার্য বিধান হিজাব বা পর্দা নিয়ে নানাবিধ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকেই। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় না আনা ও সরকারের উদাসীনতার কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে এসব অপতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে হিজাবীরা নাজেহাল ও অপদস্থ হচ্ছেন। এমনকি হিজাব পরার কারণে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী নিগ্রহের ঘটনাও আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। 

আমাদের দেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। তাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন ও ধর্মীয় আদর্শ প্রচার প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। মূলত, ‘হিজাব’ ইসলামের অপরিহার্য তথা ফরজ বিধান। আল্লাহ তায়ালা কালামে পাকের অনেক স্থানে পর্দা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসেঙ্গ আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘(হে নারীগণ!) তোমরা ঘরের মধ্যে অবস্থান করবে, অজ্ঞতার যুগের নারীদের মত নিজেদের প্রদর্শন করবে না। আর নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে, জাকাত আদায় করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে।’ (সূরা আহযাব : আয়াত ৩৩)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসূল (সা.)কে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদের, কন্যাদের এবং মুমিনদের নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়।’ এতে স্পষ্টতই প্রমাণ হয় হিজাব বা পর্দা করা ইসলামের অপরিহার্য বিধান। 

হিজাব বা পর্দা মানুষকে অশুভ শক্তির প্ররোচনা ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নিরাপদ রাখে। হিজাবীরা মানুষের কুদৃষ্টি ও ফেৎনা থেকে নিরাপত্তা লাভ করেন। আর নারীদের নিরাপত্তা ও পুরুষের চারিত্রিক পরিশুদ্ধতার জন্যই নারীদের ওপর হিজাব তথা পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে। আর তা যথাযথভাবে পালন করা শুধু ধর্মীয় স্বাধীনতা নয় বরং প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।

যদিও তথাকথিত নারীবাদীরা ইসলামের এই মৌলিক বিধানের সরাসরি বিরোধিতা করে আসছে। মূলত, কথিত নারী প্রগতি, নারী মুক্তি, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে হিজাববিহীন খোলামেলা চলাফেরার সমাজে অবক্ষয়কে পরিকল্পিতভাবে উস্কে দেয়া হচ্ছে। আর হিজাব তথা পর্দা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারিত অত্যাবশ্যকীয় বিধান। সর্বোপরি একজন নারী যখন বেপর্দায় চলাফেরা করে; তা শুধু নারীর জন্যই ক্ষতিকর নয় বরং তা পুরুষের জন্যও ক্ষতিকর। বেপর্দা হয়ে চলাফেরায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে নারীর ওপর। আর তা থেকে যুবসমাজ চারিত্রিক অবক্ষয়ে জড়িয়ে পড়ে।

পর্দা শুধু মুসলিম নারীদের মধ্যে নয় বরং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির অংশ। পর্দা সাধারণত দু’টি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন, মহিলাদের শরীরকে আবৃত করার প্রয়োজনীয়তা যাতে মহিলারা তাদের ত্বকের লাবণ্য রক্ষা এবং রূপ-সৌন্দর্যকে গোপন করতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে মহিলাদের চলাফেরা এবং আচরণকে সীমাবদ্ধ করতে পর্দার অভ্যাস প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান ছিল এবং ইসলামের আগমনের সাথে সাথে এটি আরো ভালোভাবে সমাজে প্রচলিত হয়েছিল। ১৯ শতকে পর্দা হিন্দু অভিজাতদের মধ্যে প্রথাগত হয়ে ওঠেছিল। এখনো উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের মধ্যে পর্দা বা শালীন পোশাক ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। যা তাদের আভিজাত্যের স্মারক হিসাবে গণ্য। 

আমাদের দেশ মুসলিম প্রধান হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামের অপরিহার্য বিধান পর্দা বা হিজাব নিয়ে অহেতুক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথাকথিত নারীবাদীরা পর্দা আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সমাজ-সংস্কৃতির অংশ নয় বলে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই বিভিন্ন লোকালয়ে বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্দানশীন মেয়েরা নানাভাবে নাজেহাল ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এমতাবস্থায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। যা নাগরিকদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। 

হিজাব নিয়ে নানাবিধ বিতর্কের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি হিজাব ও বোরকা পরা নারীর সাংবিধানিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন দেশের উচ্চ আদালত। এ প্রসঙ্গে আদালত বলেছেন, ‘এখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এবং রাষ্ট্রকর্তৃক সেই অধিকার সমুন্নত রাখা একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব’। সম্প্রতি দেশের অন্তত ১৫ জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব ও বোরকা পরার কারণে হেনস্তার শিকারের ঘটনাকে উদ্ধৃত করে দেশের উচ্চ আদালতে একটি রিট মোকদ্দমা দায়ের করা হয়েছে। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত ঘটনাসমূহ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২ মাসের মধ্যে শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে তদন্ত বিষয়ক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রিটের প্রাথমিক শুনানিতে আদালত বলেছেন, ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশে হিজাব-বোরকা পরা নারীর সাংবিধানিক অধিকার। পরে আদালত দেশের বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বোরকা পরায় হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। বোরকা বা হিজাব পরিধান করা শিক্ষার্থীদের আদৌ হেনস্তা করা হয়েছে কি-না এবং হেনস্তা করা হয়ে থাকলে এর পেছনে কারা দায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাও তদন্তে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে বোরকা পরায় হেনস্তার শিকারের ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত মে মাসে একটি রিট মোকদ্দমা দাখিল করা হয়। রিটে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাধা দেয়া হয়- মর্মে উল্লেখ করা হয়। রিট পিটিশনে দেশের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব ও বোরকা পরার কারণে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা হওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা হেনস্তার শিকার হয়েছেন সেগুলো হচ্ছে : (১) নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয় (২) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আর সি উচ্চ বিদ্যালয় (৩) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (৪) কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ (৫) নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় (৬) চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ বৌদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয় (৭) চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় (৮) গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৯) মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালকিনি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১০) নারায়ণগঞ্জের সোনার গাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় (১১) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিষমডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (২) ফেনীর জিয়া মহিলা কলেজ (১৩) বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আগৈলঝাড়া পয়সা মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৪) সিলেটের কিশোরী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় এবং (১৫) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা মাইজপাড়া মাহমুদুন্নবী উচ্চ বিদ্যালয়।

এদিকে দেশের উচ্চ আদালত হিজাব ও বোরকা পরাকে ‘নারীর সাংবিধানিক অধিকার’-মর্মে মন্তব্য করলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার ‘অপরাধে’ হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বেত্রাঘাতের শিকার হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ বৌদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয়ে (জেবি) হিজাব নিষিদ্ধ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি বড়–য়া। চলতি বছর ২৯ মার্চ হিজাব পরিধান করে এক ছাত্রী স্কুলের শ্রেণিকক্ষে এলে ওই প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে হেনস্তা করেন। তাকে বেত্রাঘাতও করেন মর্মে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ওই সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতি দিনকার মতো ২৯ মার্চ সকালে হিজাব পরে বিদ্যালয়ে আসে অষ্টম শ্রেণির ঐ শিক্ষার্থীসহ ৩ জন। সকাল ১১টার দিকে অ্যাসেম্বলি শেষে ক্লাস শুরুর আগে প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি বড়–য়া তাদের ডেকে হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন। এ সময় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিজাব খুলতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তাকে বেত্রাঘাত করেন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করেন। এতে কোনো প্রতিকার না পেয়ে ওই ছাত্রীর পরিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে ঘটনার শিকার এক ছাত্রীর অভিভাবকের বক্তব্য হলো, ‘আমরা এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রথমে বলেন, স্কুলের ভেতর হিজাব পরা যাবে না। পরে তার কাছে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। এ সময় তিনি কিছুটা নমনীয় হয়ে বলেন, আচ্ছা, আপনার শিক্ষার্থী চলতি শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত হিজাব পরলে অসুবিধে নেই। তবে আগামী বর্ষে আর পারবে না’। যা অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত।

নিকট অতীতেই আমাদের দেশে হিজাব বা পর্দা নিয়ে কোন বিতর্ক ছিল না বরং সকল শিক্ষার্থীই নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবেই পালন করেছেন। এখনো আমরা লক্ষ্য করি হিন্দু পুরুষ শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা হলে পৈতা বা গলায় কাঠের মালা পরতে পারে। বিবাহিত হিন্দু মেয়েদের শাখা-সিঁদুর পরতেও কোন বাধা নেই। খ্রীষ্টান শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় আদর্শ মতে গলায় ক্রুস ঝোলাতেও কোনভাবেই বাধা দেয়া হয় না। আর বৌদ্ধ ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীদের গেরুয়া পোশাক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে দেখা যায়। তারা কোনভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হন না। ব্যতিক্রম শুরু ইসলামী আদর্শের স্মারক ‘হিজাব’।

মূলত, একটি চিহ্নিত মহল এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আবেগ-অনুভূতি, বোধ-বিশ^াস, তাহজীব-তমদ্দুনকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। আর এরাই হিজাবসহ ইসলামী আদর্শের স্মারকগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ফলে হিজাব, দাড়ি-টুপি ও ইসলামী আখলাক-সুরতকে নানাভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। আর এই অপকর্মের মাধ্যমে এই অশুভ শক্তি একদিকে ধর্ম অবমাননা করছে; অপরদিকে করছে রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অমর্যাদা। এমতাবস্থায় দেশের উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ দেশের শান্তিপ্রিয় ও ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আশাবাদের সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করবো সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ দেশের ধর্মীয় সংস্কৃতির অনুসরণ, সাংবিধানকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করবেন। একই সাথে অপরাধীদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ইসলাম বিরোধী শক্তির অপতৎপরতা কখনোই বন্ধ হবে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ