শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার সামরিক ডলফিন

২৮ এপ্রিল, দ্য গার্ডিয়ান : ইউক্রেনে অভিযানের শুরুর দিকে কৃষ্ণ সাগরের সেভাস্তোপল নৌ ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সামরিক ডলফিন মোতায়েন করে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল ইনস্টিটিউটের (ইউএসএনআই) পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। পানির নিচ দিয়ে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষায় এই পদক্ষেপ নেয় মস্কো। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সামরিক ডলফিন দুটি গত ফেব্রুয়ারিতে সেভাস্তোপল ঘাঁটিতে স্থানান্তরিত করা হয় বলে মার্কিন প্রতিবেদনে এসে। বন্দরের নৌ ঘাঁটির স্যাটেলাইট চিত্র পর্যালোচনা করে মার্কিন নৌবাহিনীর নেভাল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর দিকে রুশ সমুদ্রসীমায় দুটি ডলফিন মোতায়েন করা হয়। যদিও এ বিষয়ে মস্কোর কাছ থাকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যুদ্ধে আগেও প্রশিক্ষিত ডলফিন ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। জলজ এই প্রাণীটি বিভিন্ন বিপজ্জনক বস্তু উদ্ধার ও শত্রুপক্ষের ডুবুরিদের অবস্থান শনাক্তে ব্যবহার করা হয়। ক্রিমিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত সেভাস্তোপল নৌ ঘাঁটিটি রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নেয় মস্কো। ইউএসএনআই পর্যালোচনায় বলা হচ্ছে, সামরিক ডলফিন মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্যই হতে পারে পানির নিচে বিস্ফোরক দ্রুত শনাক্ত করা। শত্রুরা পানির নিচ জাহাজে বড় ধরনের হামলার ইতিহাস রয়েছে। শুধু রাশিয়া নয় ইউক্রেনও সেভাস্তোপলের কাছে অ্যাকুরিয়ামে ডলফিন প্রশিক্ষণ দেয় বলে জানা গেছে। শীতল যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সামরিক ডলফিনের ব্যবহারের প্রচলন শুরু করে। পানির নিচে শক্তিশালী মাইনের মতো বিস্ফোরক শনাক্তে ডলফিন প্রশিক্ষণ দেয়া হতো তখন।                          

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ