ঢাকা, ‍শনিবার 18 May 2024, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলো রাশিয়া

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়া। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটি। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে রাশিয়ার নিজস্ব মুদ্রা রুবলে লেনদেনের প্রস্তাব দেয় পুতিন সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবার দেশ দুটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাশিয়ান একচেটিয়া গ্যাস রপ্তানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম গ্যাস সরবরাহ বন্ধের এই ঘোষণা দেয়।

মস্কো বলেছে, দেশটির অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে প্রশমিত করতে রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে লেনদেন করা প্রয়োজন। আর সেটিকে কার্যকর করতেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।

এদিকে, ইউরোপীয় নেতারা পুতিনের এই পদক্ষেপকে ব্ল্যাকমেইল হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ব্ল্যাকমেইলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, রাশিয়া সারাবিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ।

পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা এ রকম পদক্ষেপকে রাশিয়ার মৌলিক নীতি লঙ্ঘন বলে মনে করছেন। অন্যদিকে, বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রী আলেকজান্ডার নিকোলভ বলেছেন, গ্যাসকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত মাসে একটি সমন জারি করে গ্যাজপ্রমকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, যেসব দেশ রুবলে অর্থ লেনদেন করতে ব্যর্থ হবে, তারা রাশিয়ার মিত্র নয় এবং তাদের কোনো রকম জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না।

যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, জ্বালানি ক্রয়ের চুক্তিতে ইউরোতে লেনদেনের কথা বলা আছে এবং রুবেলে লেনদেন সেই শর্তের লঙ্ঘন।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এই গ্যাস সরবরাহ বন্ধকে ইউরোপের দেশগুলোকে রাশিয়ার গ্যাস ব্যবহার করতে ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার বানানোর একটি প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।

পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া উভয়ই মস্কোর সাবেক সোভিয়েত যুগের উপরাষ্ট্র। পরবর্তীতে দেশ দুটি ইইউ ও ন্যাটোতে যোগ দেয়। বর্তমানে পোল্যান্ড ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ক্রেমলিনের অন্যতম সোচ্চার প্রতিপক্ষ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ