বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রামে ঈদের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে ঈদের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে।গত ২ বছর করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা ঈদের বাজারে লোকসানের মধ্যে থাকলেও এবার তারা সে ধকল কাটিয়ে লাভের আশা করছেন।এবছর প্রতিটি মার্কেটে দুপুর থেকে রাত অবধি ক্রেতাদের ভিড় পরিলক্ষিত হচেছ। এখন কোথাও ফাঁকা নেই, সবখানে জমজমাট ও উপচেপড়া ভিড়। চলছে হরদম বিকিকিনি। ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কটগুলোতে ততই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট,রেয়াজউদ্দিন বাজার,বালি আর্কেড,সানমার ওশান সিটি,ইউনোস্কো সেন্টার,মিমি সুপার মার্কেট,আফমীপ্লাজা,ফিনলে শপিং,চট্টগ্রাম শপিংকমপ্লেক্স,লাকী প্লাজা,সিংগাপুর মার্কেট,টেরীবাজার,ভিআইপি টাওয়ার সহ সব মার্কেটে এখন ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।গতকাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের দিকে রেয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমন্ডি লেইনের এমন কোনো গলি নেই, যেখানে ক্রেতা নেই। এখানকার বিভিন্ন শো-রুম ও দোকানগুলোতে ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন ঈদের পোশাক। ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের হাতে উৎসবের পোশাক তুলে দিতে দর কষাকষি করছেন। বেশিরভাগ ক্রেতাকে পোশাক নিয়ে মার্কেট ত্যাগ করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। ২০ রমজানের পর বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা। শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, জুতো, সবধরনের লেডিস আইটেমসহ তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যসামগ্রী পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া রয়েছে পাঞ্জাবি ও জুতার বিশাল সমাহার।ব্যবসায়ীরা জানান, এখন আস্তে আস্তে পাইকারি ব্যবসা কমে আসছে। আর খুচরা ব্যবসা বাড়ছে। বলতে গেলে গত ২ বছর কোনো ধরনের ব্যবসা হয়নি। এবার পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তাই ব্যবসায়ীরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন।আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে পাইকারি ব্যবসা ভালো হয়েছে। তবে খুচরা ব্যবসা এখন মোটামুটি জমে উঠেছে। ২০ রমজানের পর একদম পুরোপুরি জমজমাট হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সহ সভাপতি মো. সেলিম বলেন, এখানকার কাপড় ও জুতার বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের সময় যতই কাছে আসছে, ততই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। তাছাড়া এখানে বেশি ক্রেতা আসার কারণ হলো- জিনিসপত্রের দাম ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এবং মানেও ভালো। অথচ নগরীর অন্যসব মার্কেটের জিনিসপত্রের দাম গলাকাটা।তামাকুমন্ডি লেইনে ঢুকতেই কথা হয় জাবেদ নামের এক ক্রেতার সাথে। ঈদের বাজার নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক নিতে এসেছি। অনেক বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের জন্য এখান থেকে ঈদ পোশাক নিয়ে থাকি। একটু কষ্ট হলেও দেখেশুনে কমদামের মধ্যে ভালো মানের কাপড় নেওয়া যায়।ভিআইপি টাওয়ারেও  মধ্যবিত্তদের আনাগোনা বেশি। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশি-বিদেশি বাহারি পোশাক সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটটিতে শাড়ি, থ্রি-পিস লেহেঙ্গা, শার্ট, প্যান্ট পাঞ্জাবিসহ শিশুদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতার শো-রুম রয়েছে। দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানি করা নানা ডিজাইনের পোশাক সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে।এদিকে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি, ঈদের কেনাকাটায় জমজমাট হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের অভিজাত শপিং সেন্টার সানমার ওশান সিটি। সকাল থেকে সেহেরির আগ পর্যন্ত সরগরম থাকছে দোকানগুলো।উৎসবকে ঘিরে পছন্দের পণ্য কিনতে প্রতিদিন এ মার্কেটে ছুটে আসছেন হাজার হাজার ক্রেতা। তাদের বেশিরভাগই কিনছেন ব্র্যান্ডের পণ্য। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রয়কর্মীরা। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।ব্যবসায়ীরা বলছেন, সানমার ওশান সিটি থেকে পোশাক কেনা ক্রেতাদের সিংহভাগই রুচিশীল। বেশিরভাগ ক্রেতা দামের চেয়ে পণ্যের মানের ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। তাদের পছন্দ ও রুচির ওপর গুরুত্ব দিয়েই এখানকার ব্যবসায়ীরা পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন।এদিকে চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলায়ও ঈদের বাজার জমে উঠার খবর পাওয়া গেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ