রুবলে রাজি না ইউরোপ, গ্যাস না দেয়ার হুঙ্কার রাশিয়ার
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: জার্মান অর্থনীতি ও জলবায়ু সুরক্ষামন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক বলেছেন, রুবলে রুশ গ্যাস কেনার যে দাবি মস্কো জানিয়েছে, জি৭ভুক্ত দেশগুলো তা প্রত্যাখান করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
গতকাল সোমবার জি৭ভুক্ত অন্যান্য দেশের জ্বালানি মন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সম্মেলনের পর তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
হ্যাবেক সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি যে বিদ্যমান চুক্তির একতরফা এবং স্পষ্ট লঙ্ঘন, সে বিষয়ে জি৭ভুক্ত সব মন্ত্রী একমত হয়েছেন। রুবলে অর্থ প্রদান অগ্রহণযোগ্য। আমরা পুতিনের দাবি মেনে না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি।'
'আমাদের বিভক্ত করার জন্য পুতিনের প্রচেষ্টা সুস্পষ্ট। কিন্তু আপনারা এই দৃঢ় ঐক্য ও সংকল্প থেকে বুঝতে পারছেন, আমরা বিভক্ত হব না', যোগ করেন তিনি।
এর আগে সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, 'অবন্ধুসুলভ দেশগুলোকে' অবশ্যই আগামী ৩১ মার্চ থেকে রুশ মুদ্রা রুবলে গ্যাস কিনতে হবে।
মস্কোর প্রাকৃতিক গ্যাসের সব লেনদেন রুবলে করার জন্য ওই দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রাশিয়ার সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং গ্যাজপ্রমব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ বলেছেন, যেসব দেশ রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে চাইবে না, রাশিয়া সেসব দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, বিনামূল্যে ইউরোপের দেশগুলোকে গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। ইউক্রেন ইস্যুতে যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক দিন দিন অবনতি হচ্ছে এবং তেল-গ্যাসের দাম পরিশোধের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে তখন মস্কো এই ঘোষণা দিল।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি পরিষ্কার যে আমরা ইউরোপকে বিনামূল্যে গ্যাস দেবো না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের যে পরিস্থিতি তাতে আমরা কাউকে বিনামূল্যে সেবা দিতে পারব না। পেসকভ আরো বলেন, গ্যাস রফতানির অর্থ কিভাবে রুবলে গ্রহণ করা যায় তা ঠিক করতে কাজ চলছে।
ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরুর পর আমরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা দ্রুত মস্কোর ওপর ব্যাপকভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে রাশিয়া আর্থিকভাবে চাপের মুখে পড়ে।
জবাবে রাশিয়া বলেছে, তার কাছ থেকে তেল ও গ্যাস নিতে হলে রুশ মুদ্রা রুবলে দাম পরিশোধ করতে হবে। ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু ইউরোপের দেশগুলো তা মানতে নারাজ।
গত শুক্রবার মস্কো বলেছে, অবন্ধুসুলভ দেশগুলোকে তেল ও গ্যাসের দাম রুবলে পরিশোধ করতে হবে।