শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

টঙ্গী ভেন্যু নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ালো ফুটবল-আরচারি

স্পোর্টস রিপোর্টার: ভেন্যু জটিলতা থেকে কিছুতেই মুক্ত হতে পারছে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। টানা এক সপ্তাহে একেক দিন একেক সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। শেষ পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার প্রফেশনাল লিগ ১২ দলের  অংশগ্রহণে শুরু হতে যাচ্ছ্।ে কমিটির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লিগের খেলা হবে মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরের টঙ্গীতে। কিন্তু সেখানেও আপত্তি জানিয়েছে আরচারি। বাফুফে যে দুটি ভেন্যুতে খেলা আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার একটি গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম, যেটা আরচারিরও ভেন্যু। দেশের এই সম্ভাবনাময় খেলাটি বছরব্যাপী এখানে অনুশীলন ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। গতকাল বুধবার বাফুফের প্রফেশনাল লিগ কমিটি যে ফিকশ্চার তৈরি করেছে, সেখানে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ৩৫টি ম্যাচ রাখা হয়েছে টঙ্গীতে। এখানেই যত আপত্তি আরচারি ফেডারেশনের। বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি লে. জে. মো. মাইনুল ইসলাম (অব.) জরুরি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ফুটবলের কারণে তাদের যে ভেন্যু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা অবহিত করেছেন। আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি বলেছেন, ‘আগের মৌসুমেও এই স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের খেলা আয়োজন হয়েছিল। তখন ১৩ সপ্তাহে মাত্র ৫টি ম্যাচ আয়োজন হয়েছিল। তাতে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবার যে পরিমাণ ম্যাচ রাখা হয়েছে তাতে আমাদের আর অনুশীলনের সুযোগই থাকছে না। আমি মনে করেছি, এটা সবাইকে জানানো দরকার। তাই এই সাংবাদিক সম্মেলন।’ ২০১৪ সালে টঙ্গীর স্টেডিয়ামটি আরচারিকে বরাদ্দ দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আরচারির সভাপতি বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের জন্য বাফুফেকে স্টেডিয়াম বরাদ্দ দিয়েছে। তারা স্টেডিয়াম ব্যবহারে আমাদের (আরচারির) সাথে সমন্বয় করতেও বলেছে। কিন্তু বাফুফে কোনো আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সেখানে খেলা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। যে কারণে, বুধবার আমাদের বিকেলের সেশনের অনুশীলনও বাদ দিতে হয়েছে।’ বাফুফের এক সদস্য, যিনি টঙ্গীর স্থানীয় একজন রাজনীতিবিদও। টেলিফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আরচারির সভাপতি। এ বিষয়ে আরচারির সভাপতি জানান, ‘তিনি যেভাবে এবং যে ভাষায় আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, আশা করিনি। আমরা দুইজন কথা বলছি, সেটাই নাকি সমন্বয়। তিনি আমাকে এক প্রকার হুমকিই দিয়েছেন। আমি তার ব্যবহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ আরচারির সভাপতি প্রিমিয়ার লিগের ফিকশ্চারের কারণে তাদের কর্মসূচিগুলোর যে সংঘাত হচ্ছে তা উল্লেখ করে বলেন, ‘এমন হলে তো আমাদের আর খেলাধুলার সুযোগ থাকবে না। তাহলে সরকার, স্পন্সররা আমাদের যে অর্থ দিয়েছে সেগুলো ফেরত দিতে হবে। অনুশীলনের জন্য ভেন্যু না পেলে অর্থ রেখে লাভ কী?’শেষ পর্যন্ত যদি বাফুফে তাদের প্রকাশিত ফিকশ্চার অনুযায়ী খেলা অব্যাহত রাখে, তবে কী করবে আরচারি? এমন প্রশ্নের জবাবে ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই। আমি আজ (বুধবার) দুপুরেও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আশার খবর হলো-প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন বাফুফেকে তিনি বলেছেন যাতে সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলার ব্যবস্থা করে। আমাদের এখন সরকারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। এটাই আমাদের প্রতিবাদের একমাত্র মাধ্যম।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ