রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

দুই ম্যাচে ৬ গোল খেয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের কথাই বললেন জেমি

স্পোর্টস রিপোর্টার : তিন জাতি ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক কিরগিজস্তানের কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে জেমির শিষ্যরা। প্রথম ম্যাচে ফিলিস্তিনের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। অর্থাৎ টানা দুই ম্যাচে ৬ গোল হজম করে টুর্ণামেন্ট শেষ করলো জামাল ভূঁইয়ার। তবে এখনই কিরগিজস্তান ছাড়ছেনা বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশের সফরের শেষ ম্যাচ কিরগিজস্তান অলিম্পিক দলের বিরুদ্ধে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। 

আসন্ন সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতিতে সহায়ক হিসেবেই কিরগিজস্তানে টুর্ণামেন্ট খেলছে বাংলাদেশ। তাই  তো তিন জাতি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে কথাবার্তায় ছিলেন রক্ষণাত্মক। কিরগিজস্তান ও ফিলিস্তিনকে হারানোর কথা তার মুখ ফসকেও বের হয়নি কখনো। ভালো খেলার কথাই বলেছিলেন। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে  ফুটবলাররা তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। ফিলিস্তিনের কাছে ২ গোল খাওয়ার পর কিরগিজস্তানের বিপক্ষে এক হালি হজম করেছে বাংলাদেশ। মধ্য এশিয়ার দেশটির বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার এটি।সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শুরু করে যেকোনো প্রতিযোগিতা শেষে বাংলাদেশের নামটা খুঁজতে হয় তলানিতে। এখানেও টুর্নামেন্ট শেষে অবস্থান তিন দেশের মধ্যে তিনে। প্রাপ্তির মধ্যে বলতে ফাঁকতালে পাওয়া একটি গোল। জেমি ডে’র জেতার আশা ছিল না, ছিল লড়াইয়ের লক্ষ্য। চার গোল খাওয়ার পর তো লড়াই কথাটাও থাকে না। এক, দুই, তিন, চার- টপাটপ গোলগুলো খাওয়ায় মন ভালো নেই জেমির। ম্যাচের পর হতাশা আটকেও রাখেননি বাংলাদেশ কোচ, ‘আমরা আশাহত। ভাবিনি গেমটি ৪-১ ব্যবধানে শেষ হবে। আমরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে যেভাবে খেলেছিলাম, তার থেকে ভালো একটা সূচনা কিন্তু হয়েছিল। 

আমি মনে করি না, মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ৮০-৯০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ দিতে পারবে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘জানতাম কিরগিজস্তান খুবই ভালো দল এবং তাদের বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। লক্ষ্য ছিল তারা যেন আমাদের হাফে ঠিক মতো খেলতে না পারে এবং কোনো জায়গা বের করতে না পারে। প্রথম গোলের আগপর্যন্ত কাজটি ভালোভাবেই করছিলাম। এরপরে সবকিছু বদলে যায়।আরও একবার দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে না হতেই গোল হজম করাটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ কোচ, ‘দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটের মধ্যেই একটি গোল হজম করি, যা এই নিয়ে দুইবার। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যদিও ছেলেরা ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করেছে এবং একটি গোল করেছিলো। কিন্তু শেষদিকে সেটপিস থেকে আরও একটি গোল হজম করি। বাংলাদেশ কোচের একটা সুবিধা আছে, যাদের সঙ্গে খেলা পড়ে তারাই শক্তিশালী, তারাই র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে। তাই পারবো না বলে হাত-পা ছেড়ে দেন আগেই। যে কারণে ম্যাচ প্রতি গড়ে ৩ গোল খাওয়ার পরও অভিজ্ঞতা অর্জনের তৃপ্তি, ‘দেখুন আগে থেকেই জানতাম দুটি দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ছেলেরাও ডিফেন্ডিং খুব ভালো করেছে। এখান থেকে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ