শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলজুড়ে সবুজের সমাহার

নুরুল আবছার চেীধুরী রাঙ্গুনিয়-কাপ্তাই: শস্যভান্ডার খ্যাত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিল। এ বিলের তিন হাজারের হেক্টরজমিতে এই উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার কৃষক চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বর্তমান আমন মৌসুমে বিল জুড়ে এখন সবুজ সমহার। যেদিকে চোখ পড়ে সেদিকেই চোখ জুড়ানো সবুজ আর সবুজ। এই গুমাই বিলের কৃষকের মাথায় এখন বাম্পার ফলনের স্বপ্ন। বিলে লাগানো কচি ধান চারাগুলি ক’দিনেই পরিপুষ্ট হয়ে সবুজ আকার ধারণ করেছে। রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থতি কাপ্তাই চট্টগ্রাম সড়ক ধরে মরিয়মনগর চৌমুহনী এলাকা হয়ে চন্দ্রঘোনায় চোখে পড়বে সবুজ গুমাই বিলের দৃশ্য। ফসলের মাঠ যেন সবুজ গালিচায় ঢেকে দেয়া হয়েছে। এই দৃশ্যে যে কোন মানুষের চোখ আটকে যাবে। সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের আড়াই দিনের খাদ্য উৎপাদন হয় এই বিলে। চলনবিলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম চট্টগ্রামের এই শস্যভান্ডারে গত মৌসুমে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে আনুমানিক ১৫ হাজার মেট্রিক টন, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে খাদ্য উৎপাদন করে প্রতি বছর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এই গুমাই বিল। আব্দুল বারী তালুকদার নামের এই ব্যাক্তি ১৯৪৫ সালে গুমাই বিল সংস্কার করে প্রথমবারের মতো আধুনিক চাষাবাদ সূচনা করেন। গুমাই ঝিল থেকে বিলে পরিণত করার কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। ১৯৮০-৮১ সাল থেকে বিলের জমি শুষ্ক মৌসুমে সেচের আওতায় আনা হয়।উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ও লোকন বিশ্বাস, উপজেলার মরিয়ম নগর, চন্দ্রঘোনা, স্বনির্ভর, হোসনাবাদ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে গুমাই বিল। গত বছরের মতো এ বারেও গুমাই বিলে ৩ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ব্রি ৯৫, বীণা ১৭, স্বর্ণা ৫, ব্রি ৭১, ব্রি ৭৫, ব্রি ৪৯, ব্রি ৫০, ব্রি ৫২, ব্রি ৭২, ব্রি ৮১ জাতের আমন বীজ রোপণ করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ