রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

রংপুর সিআইডির দুই সদস্য বরখাস্ত ব্যবস্থা নিতে ঢাকার প্রতিবেদন

রংপুর ও দিনাজপুর আিফস : দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে চাঞ্চল্যকর মা-ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রংপুর সিআইডির (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ) দুই সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বরখাস্তকৃতরা  হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। আতাউর রহমান জানান, তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত আদেশ এখন পর্যন্ত পাইনি। তবে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত কোনো লিখিত আদেশ এখন পর্যন্ত রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে পৌঁছায়নি। এটি ঢাকা থেকে নেয়া সিদ্ধান্ত।  
সিআইডি রংপুর জোনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আতাউর রহমান আরো জানান, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে সিআইডির  মা ও ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার রংপুর জোন সিআইডির সিনিয়র এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে রংপুর জোন সিআইডি। জড়িত ৩ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এরইমধ্যে এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দিনাজপুরের বাশেরহাট থেকে তাদের আটক করা হয়। পরদিন তাদের অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে  আদালতে নেয়া হয়। পরে দিনাজপুর আমলি আদালতের-৪ এর বিচারক শিশির কুমার বসু তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলার তদন্তভার দিনাজপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে দেয়া হয়েছে।
অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় এএসপিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লুৎফর রহমানের ভাই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক, মাইক্রোবাস চালক হাবিব ও নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিহউল আলম পলাশসহ ৯ জনের নাম রয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত চারজনকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
আদালতের একটি সূত্র জানায়, পলাশ জবানবন্দীতে বলেছেন, চিরিরবন্দরের লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছে তার কিছু টাকা পাওনা ছিল। সেটি আদায় করতে তিনি লুৎফরের বিরুদ্ধে রংপুর সিআইডিতে গিয়ে অভিযোগ করেন। পলাশ বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে লুৎফরের চিরিরবন্দরের বাড়িতে অভিযান চালায় সিআইডির ওই ৩ পুলিশ। সে সময় তিনিও তাদের সঙ্গে ছিলেন। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ