রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

মিয়ানমারের এক মুখ্যমন্ত্রীসহ ৯০০০ জন পালিয়ে ভারতে

১৬ জুন, এনডিটিভি : মিয়ানমারে ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত দেশটির নয় হাজারের বেশি নাগরিক ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মিয়ানমারের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও আছেন। গতকাল বুধবার মিজোরামের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের তথ্যমতে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত দেশটির ৯ হাজার ২৪৭ জন নাগরিক আশ্রয়ের জন্য মিজোরামে প্রবেশ করেছেন।

মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে চিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ দেশটির ক্ষমতাচ্যুত দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা রয়েছেন। 

রাজ্যটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিয়ানমারের ২৪ জন আইনপ্রণেতা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বিশেষ করে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন।

মিজোরামে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের চিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম সালাই লিয়ান লুয়াই। তাঁকে ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। গত সোমবার রাতে তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন।

চিন রাজ্যটি মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এ রাজ্যের সঙ্গে মিজোরামের ছয় জেলার ৫১০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।

মিজোরামের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককে রাজ্যের স্থানীয় লোকজন আশ্রয় ও খাবার দিচ্ছেন।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, রাজ্যে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ত্রাণসহায়তা দেয়ার জন্য তার সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। বরাদ্দ করা এই অর্থ খুব শিগগির ছাড় দেয়া হবে।

সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই দেশটির গণতন্ত্রপন্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সেনাশাসনবিরোধী এই বিক্ষোভে জান্তার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮০০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া সাড়ে চার হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে।

মিয়ানমার জান্তাকে সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে ভারত

মিয়ানমার জান্তাকে অন্তত সাতটি সামরিক প্রযুক্তির চালান সরবরাহ করেছে ভারতের একটি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওই কোম্পানিটির বিক্রি করা সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে উপকূলে নজরদারি চালানোর প্রযুক্তিও রয়েছে। জাস্টিস ফর মিয়ানমার (জেএফএম) কর্তৃক গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।  

এতে বলা হয়, ভারতের বিক্রি করা সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আছে ইলেক্ট্রো-অপটিক সিস্টেমস, রাডার ভিডিও এক্সট্রাক্টর রিসিভার, ভিএইচএফ কমিউনিকেশন্স সিস্টেমস, গ্রাফিক্স প্রসেসর, ওয়ার্কস্টেশন হার্ডওয়ার, সার্ভার স্টোরেজ ও ব্যাটারি। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চের মধ্যে জয়পুর ও ব্যাঙ্গালুরু থেকে এসব সরঞ্জাম মিয়ানমারে পাঠানো হয়। ভারতীয় কোম্পানিটির সঙ্গে ইসরাইল, ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক ও ফ্রেঞ্চ-ডাচ কোম্পানির বাণিজ্য রয়েছে।

জেএফএম মুখপাত্র ইয়াদানার মাউং এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারে বিইএল’র এর বাণিজ্যের মাধ্যমে জান্তাতে বৈধতা দিচ্ছে ভারত সরকার। মিয়ানমারের জনগণের বিরুদ্ধে যা ব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে সেনাবাহিনী।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ