মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
Online Edition

বিহারে সংখ্যা সংশোধনের পর ভারতে দৈনিক মৃত্যুর বিশ্বরেকর্ড

১০ জুন, পিটিআই, রয়টার্স : ভারতের বিহার রাজ্য কোভিড-১৯ এ ভুগে বাড়িতে অথবা বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া রোগীদের গণনায় ধরে সংখ্যা সংশোধনের পর দেশটিতে দৈনিক মৃত্যুর বিশ্বরেকর্ড হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৬১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ভারতের অন্যতম দরিদ্র রাজ্য বিহারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার তাদের কোভিড-১৯ জনিত মৃত্যুর মোট সংখ্যা সংশোধন করে প্রায় ৫৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৪২৯ করে, এতে ২৪ ঘণ্টায় দেশটির মোট মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়ে আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ৫৪৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা এতদিন বিশ্বে কোভিড-১৯ এ দৈনিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।

ভারতে বৃহস্পতিবার সকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৯৪ হাজার ৫২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত মোট করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর মৃতের সংখ্যায় তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে মোট মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৬ জনের।  দেশটিতে পরীক্ষায় প্রতি ১০০ জনের মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাস অব্যাহত আছে। টানা তিন দিন ধরে পজিটিভির হার পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে। ভারতজুড়ে করোনাভাইরাস টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৫ কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের কারণে সংক্রমণ নতুন মাত্রা পাচ্ছে জানিয়ে ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তিত হতে থাকা ভাইরাসের মোকাবেলায় ভারতকে টিকাদান কর্মসূচীর গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা

নয়া দিল্লীতে রেকর্ড ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা : রেকর্ড তাপমাত্রায় পুড়ছে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লী। গত বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রের্কড গড়েছে এই শহর। এদিন এখানে সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এমনকি বাতাসে ছিল প্রচুর ধূলিকণা। রাজস্থান থেকে প্রবাহিত ধূলোবালি মিশ্রিত বাতাসের কারণে দিল্লীর বাতাসের গুণগত মানের অবনতি হয়েছে। এই খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা। 

দিল্লীর বর্তমান অবস্থানকে নাজুক ক্যাটাগরি বা ‘পুওর ক্যাটেগরি’ বলে উল্লেখ করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য অনুসারে বুধবারে ২৪ ঘণ্টায় গড়ে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৩০৫। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে এই সূচক রেকর্ড করা হয়েছে ২০৫।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ব্যাপক বৃষ্টিপাত সপ্তাহান্তে তাপমাত্র আর দূষণ কমাতে পারে। দিল্লীর তাপমাত্রা রেকর্ডের দায়িত্বে থাকা দ্য সাবদারজাং অবসারভেটরি এ বছরে শহরটির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছিল। 

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) বলেছে, ২৮শে এপ্রিল এ বছরের  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছিল। শহরটির নাজাফগড় এবং প্রীতমপুরে পারদ স্তম্ভে তাপমাত্রা ৪৪.১ ডিগ্রি  এবং ৪৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে দাঁড়িয়েছিল বলে জানায় আইএমডি।

আজ শুক্রবার বঙ্গোপোসাগরের উত্তরাঞ্চলে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। তা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে। এ কারণে পাঞ্জাব ১২ থেকে ১৩ই জুন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লিসহ উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়োবৃষ্টি হতে পারে। 

আইএমডি আরও বলেছে, ভিন্ন ভিন্ন জায়গা যেমন হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড় এবং দিল্লিতে ১৩ই জুন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আইএমডি বলেছে, সম্ভবত এই গ্রীষ্মে দিল্লিতে এত তাপমাত্রা এর আগে রের্কড হয়নি। 

আইএমডি’র একজন কর্মকতা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে সম্ভবত এবারই এমন ঘটনা প্রথম। দিল্লি শহরটির পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পারদ স্তম্ভ ক্রমাগত উঠানামা করছে। গত মাসে ঘূর্ণিঝড় তকতের সময়ও রের্কড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ