শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

৩৬টি খাল পুনরুদ্ধারে সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ’র সমন্বয়ের বিকল্প নেই

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ একে অপরে পরিপুরক। সিডিএ’র মাধ্যমে নগরীতে যে সকল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলছে তা সম্পন্ন হলে এ নগরীর চেহারা বদলে যাবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে গত শনিবার সকালে টাইগারপাসস্থ তার কার্যালয়ে সিডিএ’র চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষের সাক্ষাতকালে তারা এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ দুই প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় অতীব জরুরী। চট্টগ্রাম নগরীতে দালিলিকভাবে ৫৭টি খাল ছিল। সিডিএর উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৬টি খালের পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা চাইলে চসিক তাদেরকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে।
 মেয়র বলেন, চসিকের জনবল ও সরঞ্জাম রয়েছে যা সিডিএ’র নাই কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা ততটুকু নেই। তিনি আরো বলেন, ১০০ দিনের অগ্রাধিকার লক্ষ্য মাত্রায় নিয়ে চসিক যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা চলমান রয়েছে।
রেজাউল করিম বলেন, সিডিএ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খাল-নালায় যে বাঁধ দিতে হয়েছে ঐসব স্থানে বিকল্পভাবে দ্রুত পানি চলাচলের ব্যবস্থা বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। তা না হলে আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জরুরী নালা-নর্দমা-খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজ শুরু করেছে। কিন্তু অপরদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও একই কাজ করতে হচেছ। এতে অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে ওভারলেপিং। এখানেও সিটি কর্পোরেশনের সাথে সিডিএ’র সমন্বয় অপরিহার্য।
সিটি মেয়রের এসব কথার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়্যারম্যান এম. জহিরুল ্আলম দোভাষ বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং চট্ট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উভয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই। তিনি জানান নগরীর ৩৬ টি খাল পুনরুদ্ধারে চউক কাজ করছে। এর মধ্যে ২২ টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। আগামী জুন মাসের আগে সিডিএ খালগুলোর পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করবে। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবীদের সর্ম্পৃক্ততার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের উপর জোর দেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে আগামীতে সব কাজগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্পাদনে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
 সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহাম্মেদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন সামস, প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী, অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুলাহ আল ওমর, স্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ