রবিবার ০৫ মে ২০২৪
Online Edition

বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে ৬ জনের মৃত্যু

বগুড়া অফিস: বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার রাতে শহরের পুরান বগুড়া, ফুলবাড়ি ও কাটনারপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- শহরের পুরান বগুড়ার লোকমানের ছেলে রাজমিস্ত্রী রমজান আলী (৪০) ও প্রেমনাথের ছেলে সুমন (৩৮), শহরের কাটনার পাড়ার টোকাপট্টির কুলি শ্রমিক সাজু (৫৫) ও বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭০), ফুলবাড়ি সরকার পাড়া এলাকার আব্দুল জলিল (৬৫) এবং ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে পলাশ (৩৫)।
জানা গেছে, বগুড়া শহরের তিন মাথা এলাকায় ঋষি পরিবারের ছেলে চঞ্চলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল রোববার রাতে। সেই উপলক্ষে বিয়ে বাড়িতে আগত লোকজন পার্শ্ববর্তী শাহীনের হোমিও দোকানে মদপান করে। রাতে বাড়ি ফিরলে সুমন তার বাবা প্রেমনাথ ও চাচা রামনাথ এবং প্রতিবেশী রমজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভোর রাতের দিকে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। মদপানে অসুস্থ দুই ভাই প্রেমনাথ ও রামনাথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া রমজান স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মারা যান। অপরদিকে, শহরের কালিতলা এলাকায় রোববারে রাতে অ্যালকোহোল জাতীয় মদপান করেন সাজু, মোজাহার ও আব্দুল জলিল। রাতে বাড়ি ফিরলে অসুস্থ হয়ে তিনজনই মারা যান। বগুড়া পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরুণ কুমার চক্রবর্তী জানান, তিনজনই কালিতলা বাজার এলাকায় অতিরিক্ত অ্যালকোহোল পান করে অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই মারা যান।
অন্যদিকে, বিষাক্ত মদ পানে অসুস্থদের মধ্যে সোমবার বেলা ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পলাশ (৩৫) নামের আরও এক যুবক মারা যান। পলাশ বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে। এঘটনায় পলাশের ছোট ভাই পায়েল (৩০) ও একই এলাকার রঞ্জু (৩৪) নামের দুই যুবক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানাগেছে, পলাশ ও পায়েল রোববার রাতে শহরের কলেজ বটতলা এলাকায় অ্যালকাহোল জাতীয় মদ পান করে বাড়ি ফেরেন। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। রোববার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিষাক্ত মদ পানে ৫ জনের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে সোমবার দুপুরে পুলিশ গিয়ে অসুস্থদেরকে হাসপাতালে ভর্তির করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে পলাশ মারা যায়। বগুড়া সদর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমাযুন কবীর বলেন, যারা মারা গেছেন প্রত্যেকের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের পরিবার থেকে বিষাক্ত মদপানে মারা যাওয়ার বিষযটি অস্বীকার করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ