রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

পানি নিয়ে নতুন ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে ভারত ও চীন

৭, ডিসেম্বর, ইন্টারনেট : দক্ষিণ এশিয়ান ডেনেজ সিস্টেমের একেবারে নিচে থাকা বাংলাদেশ থেকে বহুদূরে শুরু হয়েছে এই জলজ যুদ্ধ। কিন্তু ভূকৌশলগত কারণে এই অঞ্চলে পানি কখনই ভারত-চীন বা অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় হিসেবে থাকে না। শেষ পর্যন্ত তা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপার। ভৌগলিকভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের মাত্র ৬ শতাংশ বাংলেোশর মানচিত্রে প্রবাহিত। কিন্তু এই নদীটির উপরই নির্ভর করে পুরো গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ভবিষ্যত।

আন্তর্জাতিক নদী বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন ও ভারত ব্রহ্মপুত্র নদে যে পাল্টাপাল্টি পকেল্প করার পরিকল্পনা করেছে তার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো স্বচ্ছতার অভাব। বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্র পানি প্রধানত আসে লোয়ার আসাম থেকে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক একটি নদীতে যে কোনও ধরণের বাঁধ দেবার সিদ্ধান্ত হলে তা যতোটা পরিস্কারভাবে জানানো প্রয়োজন হয়, চীন তা জানায়নি। ভারত এর বিপরীতে আকেটি প্রকল্প করার কথা বললেও, তা কি ধরণের হবে সেটিও পরিস্কার নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি দুই দেশই শুধু পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করে, তবে বাংলাদেশ হয়তো কোনও ধরণের সঙ্কটে পড়বে না। তবে দুই দেশের একটি দেশও যদি পানি সরিয়ে নেয়, শুকনো মৌসুমে দেখা দিতে পারে পানির অভাব।

পাওয়ার কন্সট্রাকশান করপোরেশন অব চায়নার চেয়ারম্যান ইয়ান জিয়োওং এর বরাত দিয়ে গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এই কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৭ কোটি কিলোওয়াট প্রতিঘণ্টা এবং ইতিহাসে এর সমান্তরাল কোনও প্রকল্প নেই।

বেইজিং এখনও এর সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানায়নি, তবে গ্রেট বেন্ড বলে পরিচিত যে অংশে এটি পশ্চিমে বাঁক দিয়েছে সেখানেই প্রকল্পটি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ভৌগলিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। কারণ এখানে নদীকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সেটিকে রীতিমতো অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বাঁধের মালিক ভাটিতে চাইলে খরা কিংবা বন্যা ইচ্ছেমতো তৈরি করে নিতে পারবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ