শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

আপাতত মালয়েশিয়া ফিরতে পারবে না দেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা

স্টাফ রিপোর্টার : মালয়েশিয়ার জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেছেন, বাংলাদেশসহ মহামারি করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ২৩ দেশের জন্য এখনো মালয়েশিয়ার সীমান্ত বন্ধ। অভিবাসন দফতরের বিশেষ অনুমতি ব্যতীত এসব দেশের কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
গতকাল বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেই ২৩টি দেশের একটি যেসব দেশের জন্য প্রবেশাধিকার কঠোর করা হয়েছে। কারণ তারা কভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিতে আছে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি শ্রমিকদের জন্য অভিবাসন দফতর এখনো সরকারকে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পরিবর্তন, শিথিল কিংবা পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়নি। ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব আরও বলেছেন, মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় ফিরে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকের দেহে করোনার শনাক্ত হওয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশসহ প্রায় ২৩টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মালয়েশিয়ান সরকার। যেসব দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখের বেশি সেই দেশগুলো এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ফলে দেশে ছুটিতে গিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মাঝে দিন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার অভিবাসী কর্মী।
দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, অনেক দোকানের কর্মী দেশে গিয়ে আটকে পড়ায় দোকানগুলোও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। মালেয়শিয়ায় ফিরতে না পারলে তাদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হবে।
বাংলাদেশ ফেরত অনেক প্রবাসী কর্মীর এরই মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষের পথে। আশা ছিল দেশ থেকে ফিরে নতুন ভিসার জন্য আবেদন জমা দেবেন তারা। এ নিষেধাজ্ঞায় দেশে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করতে না পারায় উদ্বিগ্ন প্রবাসী ব্যবসায়ীরাও।
এদিকে, প্রবাসী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে মালয়েশিয়ার বড় তিনটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আর এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ছুটিতে থাকা প্রবাসী কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে সার্বক্ষণিক মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ