রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

আখাউড়ায় স্কুলছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণ ॥ বখাটে গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পরিবারের সকলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহাদাত হোসেন -(৩৬) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ  করেছে স্বজনরা। গত বুধবার দুপুরে পুলিশ শাহাদাত হোসেনকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

গ্রেপ্তারকৃত শাহাদাত হোসেন বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামোড়া গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে। শাহাদাত ওই স্কুলছাত্রীর চাচীর আপন ভাই।

স্কুলছাত্রীর পরিবার, মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ওই স্কুলছাত্রীর বসত ঘরে পাশেই তার চাচীর বসতঘর। ২০১৯ সালে  প্রথম দিকে ওই স্কুলছাত্রীর চাচী তার বসতঘর মেরামত কাজ শুরু করে। সে সময় বোনকে কাজে সহায়তার জন্য শাহাদাত বোনের বাড়িতে গেলে তাকে থাকার জন্য নিজের ঘরে আশ্রয় দেন ওই স্কুলছাত্রীর মা। 

এক পর্যায়ে শাহাদাত ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শাহাদাত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত বছরের ১ এপ্রিল রাতে শাহাদাত স্কুলছাত্রীর পরিবারের সবাইকে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। সকালে জ্ঞান ফিরলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই স্কুলছাত্রী। মান সম্মানের ভয়ে স্কুলছাত্রী বিষয়টি পরিবারের কাউকে জানায়নি। এই সুযোগে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে শাহাদাত। পরে এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রী শারীরিকভাবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে তখন ঘটনা খুলে বলে।

 গত সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে শাহাদাত ওই ছাত্রীর কক্ষে ঢুকে তাকে আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে  স্কুলছাত্রী চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে। 

মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের শাহাদাতকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। রাতে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। 

ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই বখাটে প্রথমে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই বখাটে।

 গত সোমবার রাতে সে আমার মেয়ের কক্ষে গিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। 

এদিকে আখাউড়া থানায় আটক থাকাবস্থায় শাহাদাত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করিনি। তার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ সঠিক না। 

এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুওে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত শাহাদাতকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই স্কুলছাত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ