রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনা রোগী ॥ একদিনে শনাক্ত ৭৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো : গত চব্বিশ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৭৮জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুনভাবে ৭৪ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নগরের ৬৬ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৮ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগী এখন ১৯ হাজার ৮৮৩ জন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

বিআইটিআইডি : সিভিল সার্জনের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো টেস্টসহ ৩০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ৬ জনের শরীরে।

সিভাসু : চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

সিএমসিএইচ : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৩১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় দিনের সর্বোচ্চ ২৩ জনের শরীরে।

চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে।

ইম্পেরিয়াল : বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ জনের নমুনার মধ্যে ১৫ জনের মধ্যে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

  শেভরণ : চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি করোনা পরীক্ষাগার শেভরণ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল : চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে নতুন যুক্ত হওয়া করোনার আরেকটি পরীক্ষাগার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

কক্সবাজার মেডিকেল : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তার শরীরে করোনা পাওয়া যায়নি।

আরটিআরএল : চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল রিজিওন্যাল টিউবারকুলোসিস র‌্যাফারেল ল্যাবরেটরিতেও (আরটিআরএল) ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দুটিই করোনা নেগেটিভ আসে।

উপজেলা পর্যায়ে ৮ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৩জন, রাউজানে ২জন এবং বোয়ালখালী, ফটিকছড়ি ও সন্দ্বীপে ১জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ৭৪জন বেড়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৮৩জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে নগরের ১৪ হাজার ৪১৮ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৫ হাজার ৪৬৫ জন। আক্রান্দদের মধ্যে মারা গেছেন ৩০১ জন। যাদের ২০৮ জন নগরের এবং ৯৩ জন উপজেলার। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন ১৫ হাজার ৬৩৮ জন।

পৃথক ঘটনায় দুইজন খুন   : চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় দুইজন খুন হয়েছেন। নগরীর হালিশহর মিজানুর রহমান লিটন (৫২) নামে এক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত দেড়টার দিকে হালিশহর আবাসিক এলাকার এ-ব্লকে আর্টিলারি সেন্টারের সামনে একটি খালপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মিজানুর হালিশহর থানার রহমানবাগ আবাসিক এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এম এ লতিফের ছেলে।

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এম এ লতিফের সাত ছেলের মধ্যে মিজানুর রহমান লিটন সবার বড়। তিনি আগে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করলেও সর্বশেষ জমি বিক্রির মধ্যস্থতা করতেন। হালিশহর আবাসিক এলাকার বি-ব্লকে পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করেন।

বুধবার রাত ১টার দিকে আমরা খবর পাই যে, এ-ব্লকের খালপাড়ে একটি লাশ পড়ে আছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করছি, রাতেই খুন করে লাশ সেখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে। তবে কারা এই হত্যাকা-ে জড়িত সেটি এখনও চিহ্নিত করতে পারিনি। সম্ভবত ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমান লিটনের লাশ তার বাড়ি রহমানবাগ আবাসিক এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে পৌঁছানোর পর সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মিজানুরের ছোট ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। লাশ এলাকায় পৌঁছার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকায় আলিফ গলি থেকে বিজয় কুমার বিশ্বাস (৩২) এক ব্যক্তির বস্তবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। বিজয় কুমার বিশ্বাস কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সন্তোষ কুমার দাশের ছেলে।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান জানান, বিজয় বিকাশের কমিশন এজেন্ট। পাহাড়তলী নাবিক কলোনির সামনে তার দোকান আছে। ওই এলাকায় তার বাসা। আট মাস আগে তার বিয়ে হয়।

বিজয়ের ভাইয়ের বরাত দিয়ে ওসি জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বাসা থেকে দোকানে যাবার জন্য বিজয় বের হন। কিন্তু সারাদিন দোকান বন্ধ ছিল। মোবাইলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেলে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সড়কের পাশে তার বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া গেছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তার জাতীয় কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।

কি কারণে এবং কারা বিজয়কে হত্যা করেছে সেটি এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, বিকাশের কমিশন এজেন্ট হওয়ায় তার কাছে সবসময় বড় অঙ্কের টাকা থাকত। সেই টাকার জন্যই হয়ত কেউ খুন করেছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্ত।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ