শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

৬ ব্যাকটেরিয়ার জীবনরহস্য উন্মোচন

দিনাজপুর অফিসঃ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক এবং পিএইচডি ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন। এসব ব্যাকটেরিয়া কীটনাশক খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারে এবং জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশকের পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কমাতে পারে। বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক গবেষণা চালিয়ে এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর জীবনরহস্য উন্মোচন করেন।

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি ল্যাবে ৮০টি ব্যাকটেরিয়া নিয়ে দুই বছর গবেষণা চালিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়টি ব্যাকটেরিয়ার জীবনরহস্য উন্মোচন করা গেছে। কীটনাশকের পরিবর্তে এই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহারে ফসল যেমন বাড়বে, তেমনি দীর্ঘ সময় জমির উর্বরতাও ধরে রাখা যাবে। শনাক্ত করা ব্যাকটেরিয়াগুলো হলো ঊহঃবৎড়নধপঃবৎ, অপরহবঃড়নধপঃবৎ, ঝবৎৎধঃরধ, গড়ৎমধহবষষধ, কষবনংরবষষধ ও ঈরঃৎড়নধপঃবৎ. শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়াগুলো টমেটো, ধান ও বেগুনগাছে স্প্রে করলে গাছের দেহে প্রবেশ করে এবং মিথোজীবী সহাবস্থানের মাধ্যমে সরাসরি বাতাস থেকে নাইট্রোজেন উদ্ভিদ শরীরে সংবন্ধন করতে পারে।

ড. মো. আজিজুল হক জানান, কীটনাশক ব্যবহার করার পর তা খাদ্যশৃঙ্খলে থেকেই যায়, যা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ। এসব বিষয় থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় দুই বছরের গবেষণায় ছয়টি ব্যাকটেরিয়াকে শনাক্ত করা হয়, যারা সরাসরি উদ্ভিদে বিদ্যমান কীটনাশক খেয়ে জীবন ধারণ করে। ব্যাকটেরিয়াগুলো পুষ্টি জোগাতেও উদ্ভিদকে সহায়তা করে।

গবেষকরা জানান, এসব ব্যাকটেরিয়া পানিতে মিশিয়ে সরাসরি গাছে স্প্রে করলে ব্যাকটেরিয়াগুলো গাছের পত্ররন্ধ দিয়ে ঢোকে এবং উদ্ভিদের সঙ্গে মিথোজীবী হিসেবে সহাবস্থান করে। ব্যাকটেরিয়া থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও ফসফেট জোগান দেওয়ায় ফসল উৎপাদনে সার কম লাগে ৮০ শতাংশ। ফলে মাত্র ২০ শতাংশ সার প্রয়োগে ফসল ফলানো যাবে।

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ইয়াছিন প্রধান বলেন, ‘গবেষণাগারে আমরা এরই মধ্যে ছয়টি ব্যাকটেরিয়ার পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচন করতে পেরেছি। এই বিভাগেরই সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক গবেষণার কাজটিতে প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ