নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করছে না কেন? প্রশ্ন গয়েশ্বরের
স্টাফ রিপোর্টার: কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলের সর্বস্তরে আন্দোলন কর্মসূচির দাবি থাকলেও সেই কর্মসূচির ঘোষণা না আসায় নেতাকর্মীরা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের বাড়ি ঘেরাও করছে না কেন এমন প্রশ্ন রেখেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সবাই আন্দোলনের কথা বলছেন, আমরা নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারছি না। তাহলে আপনারা আমাদের কথা শুনছেন কেন? আপনারা আমাদের বাড়িঘর ঘেরাও করছেন না কেন?
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম।
আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক নাহিদ ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দল নেতা এম জাহাঙ্গীর আলম, চিত্রনায়িকা শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, তিনি প্যারোলে মুক্তি নিতে পারেন না, কারণ তিনি কোন অন্যায় করেননি। আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার মুক্তি মর্যাদাপূর্ণ। তিনি বলেন, একজন আপোষহীন নেত্রী জেলখানায় থাকবেন আর আমরা প্যারোলে মুক্তির জন্য প্যারোল আর কোর্টে দৌঁড় পারবো? না, আমরা আন্দোলন করবো, রাজপথে যে আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। আন্দোলনটাই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা সবাই জানি মৃত্যু অনিবার্য। সেই মৃত্যুকে যদি রোধ করতে না পারি তাহলে আমরা কাপুরুষের মতো রাস্তায় নামতে ভয় পাই কেন? খালেদা জিয়া জেলে গেছে, আমাদের মধ্যে দুই-চার পঞ্চাশ একশটা (নেতাকর্মী) রাস্তায় গুলী খেয়ে পরে যাই নাই তাহলে আমরা নেত্রীকে কোন মর্যাদায় রাখলাম?
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমাদের নেতা হওয়ার পেছনে যার (খালেদা জিয়া) অবদান তার জন্য কি আমাদের কিছু করার নেই? যদি থাকে তাহলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা যারা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, এটা হচ্ছে আমাদের অপরাধ। গয়েশ্বর বলেন, আমাদের ইস্যু হচ্ছে একটা, সেটা হলো গণতন্ত্রের মুক্তি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি । খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এজন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, এই সরকারকে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে। সরকার যেই ঋণ করেছে, এই যাওয়ার পর এই ঋণের বোঝা জনগণের মাথার উপরে ভর করবে। এই সরকার যাওয়ার পর যারা সরকার গঠন করবে তাদের দেশ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।