বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

মাত্র তিন চিকিৎসককে দিয়ে চলছে শ্যামনগর ৫০ শয্যা হাসপাতাল

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা : ‘এত বড় হাসপাতালে একজন হাঁড়ের ডাক্তার নেই। ডাক্তার দেখাতি এখন যাতি হবে আরও ত্রিশ কি. মি. দুরের বেসরকারী হাসপাতালে’। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়ানো মহররম হোসেন আক্ষেপ করেই এসব কথা বলেন। ক্ষুব্ধ মহররম হোসেন জানান কাঁধের যন্ত্রণায় কাতর অসুস্থ স্ত্রী তাসলিমাকে নিয়ে প্রায় পঁচিশ কি. মি. দুরবর্তী পদ্মপুকুর পাখিমারা এলাকা থেকে এসেছেন সকালে। কিন্তু টিকিট নেয়ার সময় অর্থপেডিক্স এর চিকিৎসক না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে এখন পাশর্^বর্তী উপজেলার বেসরকারী হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টাইফয়েড জ¦রে আক্রান্ত সত্তর বছরের বৃদ্ধা মা ও গাইনী সমস্যায় ভুগতে থাকা স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা মো. ইউসুফের সমস্যা ভিন্নতর। বেলা সাড়ে দশটায় মায়ের জন্য টিকিট নিয়ে দেড় ঘন্টা অপেক্ষার পরেও সিরিয়াল আসেনি। সেবা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইনের কারনে চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে বিলম্ব হচ্ছে জানিয়ে এ পল্লী চিকিৎসক বলেন, মাকে ডাক্তার দেখানোর পর স্ত্রীকে নিয়ে পাশের বেসরকারী হাসপাতালে ছুটতে হবে। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনীর কোন চিকিৎসক না থাকায় অন্যদের মত তাকেও বাধ্য হয়ে বেসরকারী হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসা নিতে হবে বলে জানান তিনি। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা নিয়ে এমন হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তোষ শুধুমাত্র মহররম ও ইউসুফ হোসেনের নয়। বরং ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশেরই দাবি ‘চিকিৎসক সংকটে সেবা প্রত্যাশীরা চরম ভোগান্তীর শিকার হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকার দরুন রোগীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা ও তার ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসাপত্র গ্রহনের জন্য একাধিকবার বাড়ি আর হাসপাতালে ‘টানা দিতে’ হচ্ছে। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অসংখ্য রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও দাবি অনেকের।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ