বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

ডলার ছিনতাইয়ের মামলায় পুলিশের সাজা

স্টাফ রিপোর্টার : এক মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের কাছ থেকে ১৮ হাজার ৮০০ ডলার ছিনতাইয়ের মামলায় পুলিশের এক এএসআইসহ দুইজনকে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার দুই আসামী উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের এএসআই আলমগীর হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) এবং মাসুম বিল্লাহকে দুই বছর করে কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেওয়া হয় রায়ে। আলমগীর হোসেন যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।

রায় ঘোষণার সময় তারা দুজনেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে এ আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, “রায়ের পর আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।”

রাজধানীর উত্তরার লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটের এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক মো. ইলিয়াস ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বলা হয়, ৪ এপ্রিল উত্তরার রাজলক্ষী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন ইলিয়াস। ওই সময় একটি প্রাইভেট কার তার সামনে এসে থামে এবং কয়েকজন লোক ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়িতে তোলার পর কালো কাপড় দিয়ে ইলিয়াসের চোখ বাঁধা হয়। তারপর ইলিয়াসের সঙ্গে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ টাকার বেশি) ছিনিয়ে নেওয়া হয়।”ওই সময় ইলিয়াসের চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করে, বাকি চারজন পালিয়ে যায়। পরে মাসুম বিল্লাহ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এএসআই আলমগীর হোসেন ছাড়াও হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমনের নাম বলেন। পরে পুলিশ এএসআই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। আর মাসুম বিল্লাহ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের  (ডিবি পুলিশ) উপ-পরিদর্শক মো. নূরে আলম সিদ্দিক এএসআই আলমগীর ও মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন । ওই বছরের ১৯ জুন দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার রায় দিল বলে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ