উপকূলে ইলিশের সিন্ডিকেটে জিম্মি জেলে ও ভোক্তারা
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: উপকূল এলাকায় এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। সমুদ্র-নদী থেকে ইলিশ আসে মাছঘাটে। সেখান থেকে স্থানীয় হাটবাজার এবং রাজধানী পর্যন্ত।কিন্তু ঘাটের কিনারে ওঠার আগেই ইলিশের দখল চলে যায় আড়তদার আর বড় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের দখলে।তারা একদিকে যেমন জেলেদের বঞ্চিত করে ন্যায্য দাম থেকে, অন্যদিকে ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করে চড়া দাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপকূল এলাকায় ইলিশের ব্যবসায়কে নিজেদের কব্জায় নেয়ার জন্য একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে কিছু আড়তদারের মাধ্যমে যারা দাদন ব্যবসার সাথেও যুক্ত।তারা জেলেদের দাদন দেয়ার মাধ্যমে জিম্মি করে ফেলে নিজেদের ইচ্ছামত মাছের মূল্য নির্ধারণ করে জেলেদেরকে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত করে।
জেলেরা সিন্ডিকেটের বাইরে মাছ বিক্রি করতে পারে না। যেমনটা পটুয়াখালীর দ্বীপ ইউনিয়ন চরমোন্তাজ। সেখানে ইলিশের রয়েছে বড় মোকাম। অসংখ্য ট্রলার ভিড়ে ইলিশ নিয়ে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ বেচাকেনা হয় এখানে। চরমোন্তাজের অন্তত ৪০ ইলিশ ব্যবসায়ী মিলে সেখানে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা জেলেদের ওপর অলিখিত আদেশ জারি করেছে, যাতে বলা হয়েছে; সিন্ডিকেটের বাইরের কারও কাছে ইলিশ বিক্রি করা যাবে না। ওই ইউনিয়নের আওতাধীন নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা স্থানীয় এবং অন্য এলাকা থেকে আসা সব জেলেদেরই এ আদেশ মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। যে কারণে গলাচিপা, দশমিনা, ভোলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে আসা মৎস্য ব্যবসায়ীরা চরমোন্তাজের জলসীমায় মাছ কিনতে এসে বিপাকে পড়ছেন। ভোলা থেকে মাছ কিনতে এসে হয়রানির শিকার মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সমুদ্র-নদীতে ধরা থেকে শুরু করে বড় মাছ বাজার পর্যন্ত সর্বত্রই রয়েছে সিন্ডিকেটের প্রভাব। এ কারণে ক্রেতা পর্যায়ে এসেও মাছের দাম কমে না।
ডিএস/এএইচ