শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

বন্দরে মাদরাসার ছাত্রী ধর্ষণ বাড়িওয়ালার লম্পট ছেলে আটক

নারায়ণগঞ্জ সংবাদাদাতা: ভাড়াটিয়া ঘরের টিন খুলে ভিতরে প্রবেশ করে মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিতা মাদরাসার ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৫৪(৮)১৯।  এ ঘটনায় পুলিশ সকালে বাড়িওয়ালার লম্পট ছেলে মনির হোসেন (৩২)কে আটক করেছে। আটককৃত মনির হোসেন গোলদাশেরবাগ এলাকার মোসলেম আলী মৃধা মিয়ার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা মাদরাসা ছাত্রী বন্দরে মদনপুর এলাকায় একটি মাদরাসায় ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসচ্ছে। মা বিদেশে থাকে এবং তার পিতা মানসিক প্রতিবন্ধী। ঈদের ছুটিতে মাদরাসা বন্ধ থাকার সুবাদে ছাত্রীটি তার মামা বাড়ি গোকুল দাশেরবাগ এলাকায় আসে। ওই সুযোগে লম্পট মনির হোসেন বিভিন্ন সময়ে তাকে কুপ্রস্তব দিয়ে আসে। এতে সে রাজি না হওয়ায় গত ২১ আগস্ট রাত ১০টায় মামামামির সাথে মাদরাসা ছাত্রীটি রাতে খাবার খেয়ে মামার পাশের রুমে ঘুমাতে যায়। ওই সময় লম্পট মনির হোসেন ওই রাতে টিনের বেড়া খুলে ভিতরে প্রবেশ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ভিকটিম বিষয়টি গোপন রাখে। এক পর্যায়ে ছাত্রী মাদরাসায় থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে গত ২৮ আগস্ট (বুধবার) বিকেল ৫টায় সে তার মামার বাড়িতে আসে। ওই লম্পট মনির হোসেন পুনরায় মাদরাসা ছাত্রীটিকে কুপ্রস্তাব দেয়। ওই সময় মাদরাসা ছাত্রীটি মামা মামিকে বিষয়টি খুলে বলে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মামা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ লম্পটকে আটক করে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ধৃতকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে। সে সাথে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।  

বন্দরে গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম নিহত : বন্দরে এক সড়ক র্দুঘটনায় র্গামেন্টর্স কর্মী কুলসুম (২০) নিহত হয়েছে। সে সাথে তার মা তারফুল বেগম (৩৮) মারাত্মক ভাবে আহত হয়। গত বুধবার সকাল ৬টায় বন্দর থানার এশিয়ান হাইওয়ে মহাসড়কের মদনপুর লেনে এ র্দূঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর সহতায়  কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘাতক ট্রাকসহ হেলপার মনিরুল ইসলাম (১৯) আটক করতে সক্ষম হলেও ঘাতক ট্রাক চালক কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহতের মামা ফটিক মিয়া বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে বন্দর থানায় সড়ক র্দূঘটনা আইনে মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ৫২(৮)১৯ ধারা- ২৭৯/৩৩৮/৩০৪ (খ) পেনাল কোড। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগষ্ট (বুধবার) সকাল ৬টায় বাদীর বোন তারফুল বেগম ও তার মেয়ে কুলসুম মদনপুরস্থ ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে পায়ে হেটে ইস্পানী কোম্পানীতে রওনা হয়। ওই সময় তারা সুরুজ মিয়া গ্রুপ টেক্সটাইলস্থ এশিয়ান হাইওয়ে মহাসড়কের মদনপুর লেনে আসলে একই দিক থেকে আসা কুষ্টিয়া ট ১১-১৫২৬ তাদেরকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুলসুমকে মৃত ঘোষনা করে। ওই সময় উত্তেজিত জনতা ট্রাকসহ কুষ্টিয়া জেলার সদর থানার খাজানগর এলাকার সাহাজুল ইসলামের ছেলে হেলপার মনিরুল ইসলামকে আটক করলেও ঘাতক চালক কৌশলে পালিয়ে গেছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এবং আটককৃত চালককে বন্দর থানায় হস্তান্তর করে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আটককৃত হেলপারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। 

অগ্নিদগ্ধ হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু : দুধ গরম করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সম্পা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ওই গৃহবধূ। গত ১৪ আগস্ট বন্দর থানার লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ সম্পা আক্তার বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকার আলীনুর মিয়ার স্ত্রী। 

নিহত গৃহবধূ সম্পা বেগমের বড় ভাই মুছাপুর ইউপির সদস্য মনোয়ার হোসেন জানান, দুই সপ্তাহ আগে সম্পা আক্তার ভোর সকালে শিশু সন্তানের জন্য দুধ গরম করতে রান্না ঘরে যায়। এ সময় গ্যাসের চুলা জ¦ালাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধূ সম্পা গেম চির বিদায় নেয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ