সোমবার ১৩ মে ২০২৪
Online Edition

খুলনায় গণধর্ষণের ঘটনায় ওসি উছমান গণিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

খুলনা অফিস : খুলনা জিআরপি থানা হাজতে নারী নির্যাতন ও গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার ছয় দিন পর অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আসামী করে জিআরপি থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
পাকশি থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে এবং  জেল গেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম নিজেই এ মামলার বাদী। মামলায় জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), ঘটনার রাতের ডিউটি অফিসার এবং অজ্ঞাত আরও তিন পুলিশকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার পাকশি এসপি অফিস থেকে নির্ধারণ করা হবে।’ তিনি জানান, নির্যাতন হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ এর ১৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৩, তারিখ ০৯.০৮.১৯. খুলনা জিআরপি থানা।
গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরদিন শনিবার তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়। ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে বিচারককে ওই নারী জানান, জিআরপি থানায় নির্যাতন ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। থানা হাজতে ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আদালতের নির্দেশে সোমবার (৫ আগস্ট) তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ এবং সদস্যরা হলেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ ম কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম। এ তদন্ত কমিটি গত মঙ্গলবার তদন্ত শুরু করে এবং ৮ আগস্ট জেল গেটে ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণ করে।
জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে বুধবার (৭ আগস্ট) জিআরপি থানা থেকে ক্লোজ করে পাকশি জেলা রেলওয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ জানান, তদন্তকালে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের কারণে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ