রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

খাদ্যপণ্যে টেক্সটাইলের রঙ ও অ্যান্টিবায়োটিক

স্টাফ রিপোর্টার : খাদ্যপণ্যে টেক্সটাইলের রঙ ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে, মানুষের বাঁচার কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত ফলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করার পর আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার।
বিএসটিআইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে কাজ হচ্ছে না। আমের বাজারে ফরমালিন পরীক্ষার বিষয়ে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে হাইকোর্ট পুলিশ ও র‌্যাবকে আবারও প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৩ জুন দিন ধার্য করেছেন।
এ সময় র‌্যাবের ডিজি, পুলিশের আইজিপির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি রিপোর্টও আদালতে দাখিল করা হয়। পরে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে অথচ ক্ষতিকর রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র কেনার অর্থ দেয়া হচ্ছে না!
এর আগে গত ২০ মে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে যেন আমে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে তা তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের চেয়ারম্যান ও বিএসটিআইয়ের পরিচালককে এ মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়।
আদালতের নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আম ও ফলে কেমিক্যাল রোধে সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়তে নজরদারি করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব ফলের আড়ত ও বাজারে থাকা আম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় মামলাটির শুনানি হয়। শুনানিতে আদালত র্যাব ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি এই নির্দেশনা দেন।
মনজিল মোরসেদ জানান, গত ৯ এপ্রিল আদালত দুটি আদেশ দিয়েছিলেন। এর একটি হচ্ছে রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমবাগানগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ নিয়োগ দিতে, যাতে আম পাকানোর জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে। আরেকটা নির্দেশে চার জন বিবাদীকে ঢাকাসহ সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে তদারকি টিম গঠন করতে বলেন। যাতে কেমিক্যাল ব্যবহার করে ফল রক্ষণাবেক্ষণ বা ফল পাকানো না হয়।
এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট সময়ে কোনো প্রতিবেদন না দেয়ায় গত (২০মে) আদালতের দৃষ্টিতে আনা হয় যে, এটি না করা হলে রাজশাহীর বাগানে কেমিক্যাল ব্যবহার না করলেও ঢাকা বা অন্যত্র ফলের বাজার/আড়তে এনে আমে কেমিক্যাল ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও জানান, গত (২০মে) থেকে ৭ দিনের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে ফলের বাজার ও আড়তে তদারকি টিম গঠন করে মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কেউ আম বা ফল পাকাতে বা সংরক্ষণ করতে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারেন। আর যদি কেউ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আদালতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ