রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

আসামে ৯ লাখ কথিত বিদেশী নাগরিকের জন্য তৈরি হচ্ছে আরো ১০ কারাগার

১৮ জুন, ইন্টারনেট : ভারতের আসাম রাজ্যে বিতর্কিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর (এনআরসি) চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। আর এর আগেই দিল্লির কাছে আরও ১০টি কারাগার গঠনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে আসাম রাজ্য সরকার। এই রাজ্য সরকারের আশঙ্কা, এনআরসি তালিকা প্রকাশের পর বিদেশি ট্রাইব্যুনাল থেকে বহু ‘বিদেশি’ শনাক্ত হবে। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য এই কারাগার প্রয়োজন হবে মনে করছে সরকার। জানা গেছে, আসামের এনআরসি প্রক্রিয়ায় আবেদন করেন ৩ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৪ জন। গত বছরের ৩০ জুলাই প্রকাশিত চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০৭ জন আবেদনকারীর নাম বাদ পড়ে। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর নাম সংযোজনের চূড়ান্ত সময়সীমা পর্যন্ত মাত্র ৩১ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ নয় লাখ মানুষ আবেদনই করেননি। এ ছাড়া লক্ষাধিক মানুষের এনআরসি তালিকাভুক্তি নিয়ে আপত্তি রয়েছে। ৩১ জুলাই এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় প্রায় ১০ লাখ আসামবাসী নাগরিকত্ব হারাতে চলেছেন। ভারতীয় দ-বিধিতে তারা অবৈধ বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হতে পারেন।

চলতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিতর্কিত এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। এবার অন্তত আসামের ৯ লাখ নাগরিকের গায়ে ‘বিদেশি’ তকমা লাগতে চলেছে। এদেরকে  কারাগারে ঢোকানোর বন্দোবস্ত করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।  আসামের ৬টি জেলায় রয়েছে ছটি বিদেশি কারাগার (ফরেনার্স ডিটেনশন ক্যাম্প)। এই ৬ টি কারাগারে বন্দি রয়েছেন ৯৮৬ জন। তাদের প্রায় সবাই ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু কম্প্রদায়ের লোক। গোয়ালপাড়ায় তিন হাজার ‘বিদেশি’ থাকার উপযুক্ত কারাগার বানানো হচ্ছে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি টাকা। 

আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈয়ের অভিযোগ, পক্ষপাতদুষ্ট ও বিপথ চালিত এনআরসি প্রক্রিয়ায় লাখ লাখ মানুষ তাদের নাগরিকত্ব হারাতে চলেছেন।  আসাম রাজ্যে বর্তমানে ৩৩টি জেলার জন্য ১০০টি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। রাজ্য সরকার আরও এক হাজার ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই চালু হবে ২০০টি ট্রাইব্যুনাল। তিন মাস পরপর পর্যায়ক্রমে শেষ হবে অতিরিক্ত এক হাজার ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বানানোর প্রক্রিয়া। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ