শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৬ শ’ ৫০ হেক্টর

শাহরাস্তি (চাঁদপুর) : শাহরাস্তিতে বোরো চাষাবাদে মাঠে মাঠে চলছ পানি সেচ, জমি প্রস্তুত ও রোপনের ব্যস্ততা

ফয়েজ আহমেদ, শাহরাস্তি (চাঁদপুর) সংবাদদাতা : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে শুরু হয়েছে বোরো চাষাবাদ। মাঠে মাঠে জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনের ব্যস্ততা। 

চাষিরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শাহরাস্তিতে মোট খাদ্য চাহিদা রয়েছে ৪২ হাজার ৩ শ’ ৫০ মেট্রিকটন, যার বিপরীতে উৎপাদন হয় ৪৭ হাজার ৫ শ’ মেট্রিকটন। এ অঞ্চলে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১০ হাজার ৭ শ’ ৫০ হেক্টর। যার মধ্যে ৯ হাজার ৬ শ’ ৫০ হেক্টর জমিই বোরো মৌসুমে আবাদ চলছে। ২০ জন বিএডিসি’র বীজ ডিলার, ১১ জন বিসিআইসি’র সার ডিলারসহ দেড় শতাধিক পাইকারি ও খুচরা বীজ, সার এবং বালাইনাশক ব্যবসায়ি কৃষকদের মাঝে সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষি উপকরণ সরবারহ করে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থায় ৬১ টি গভীর নলকূপ, ২ শ’ ৯২ টি অগভীর নলকূপ, ৪ শ’ ২৩ টি এলএলপি ও অর্ধশতাধিক অন্যান্ন সেচ যন্ত্রের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 

উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বেরকি গ্রামের কৃষক রবিউল আলম জানান, বোরো ধানের চারা উৎপাদন শেষ হয়েছে।  রোপণের জন্য জমি তৈরি করা হচ্ছে। তিনি চলতি মৌসুমে ২৪০ শতাংশ (২ একর) জমিতে বোরো চাষাবাদ করবেন। এখন পর্যন্ত ১০০ শতাংশ জমিতে বোরো রোপন করা হয়েছে। সাময়িক সেচ সংকটের কারণে বাকি জমি রোপনে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি।  একই ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের কৃষক মোঃ আঃ আজিজ  জানান, তিনি এ বছর এক একর জমিতে বোরো রোপণ করবেন। এ সপ্তাহের মধ্যে জমিতে চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে। 

উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান, এ বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৬ শ’ ৫০ হেক্টর। যা গত বছরের চেয়ে ৩৫ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ৫০, ব্রি-ধান ৬৫, ব্রি- ধান ৬৭, ব্রি-ধান ৮১ সহ হাইব্রিড ধান চাষ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, মোহাম্মদ সোফায়েল হোসেন জানান, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ৬ শ ৫০ জন কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সার, বীজ সহায়তা প্রদানসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে ২ শ জন বোরো চাষী রয়েছেন।  কৃষকরা জানান, এ অঞ্চলে প্রতিবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। ফলে শীত এবং কুয়াশার প্রকোপ অনেক কম থাকায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কম এবং চারাও সুস্থ সবল হয়েছে। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এবছরও বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ