বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

বাঁশখালীর শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী শাহনাজ আক্তার ভাতা পাবে তো!

মোঃ আবদুল জব্বার, বাঁশখালী চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের কোনাখালী গ্রামের শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী শাহনাজ আক্তার (১৪) চলতি বছর হতে প্রতিবন্ধী ভাতা পাবে তো! দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে মায়ের কোলে লালন পালন হয়ে সংসারের বোঝা অবস্থায় বেড়ে উঠেছে প্রতিবন্ধী শাহনাজ আক্তার। অভাবের সংসারে অবশেষে দিন মজুর মো. ইউসুপের দুঃখ ঘুঁচবে তো? উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করতে এসে আক্ষেপ করে কথাটি বলেছেন প্রতিবন্ধী শাহনাজের জননী কাওসারা বেগম (৩৭)।
জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কোনাখালী গ্রামের গোলাম আলী বাপের বাড়ি এলাকার মো. ইউসুপ এলাকায় দিন মজুর হিসাবে পরিচিত। ভোর সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ২শ, ৩শ টাকা বেতনে লবণ মাঠ ও কৃষি জমিতে দিন মজুর (কামলা) হিসাবে কাজ করে থাকে। তাদের সংসারে শামিমা খানম (১৬), শাহনাজ আক্তার (১৪), রিপা খানম (৯) ও আমিনুল হাসান (৭) সন্তান রয়েছে। ৪ সন্তানের মধ্যে ২য় সন্তান শাহনাজ আক্তার প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ায় পরিবারের সকল সদস্যদের কাছে আদরের হলেও সরকারি কোন ভাতা ১৩ বছর ধরে না পাওয়ার বেদনা রয়েছে। ধুকে ধুকে ভাতা না পাওয়া অন্তঃজ্বালা রয়েছে স্বজনদের মাঝে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা আশ্বাস দিয়ে বলেন, শাহনাজ আক্তারকে সমাজ সেবা অফিস কার্যালয়ে ছবি ও চেয়ারম্যানের সনদ নিয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি প্রতিবন্ধী ভাতা পাবে। পঙ্গু ভাতা এখনো অনেকে পায়নি। এক পঙ্গু ছেলে কাটা গেলেই রক্ত বন্ধ হয় না। চট্টগ্রাম মেডিকেলে তার চিকিৎসা দিতে হয়। পরিষদের পক্ষ থেকে তার ও ভাতার ব্যবস্থা করেছি।
শাহনাজ আক্তারের মা কাওসারা বেগম বলেন, ৩ কন্যা সন্তান ১ ছেলের মধ্যে ২য় হলেন শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী শাহনাজ আক্তার। প্রতিদিন ভোর সকাল থেকে রাত ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত পরিবারের সকলেই শাহনাজকে সহযোগিতা করে থাকেন। খাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই অন্যের উপর নির্ভরশীল। মুখ খুলে শাহনাজ কখনো কোন কথা বলতে পারে না। ইশারাও দিতে জানে না। খাবার খাইয়ে দিতে হয়। ধারণা করেই তাকে বাথরুমে নিয়ে যেতে হয়। শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন বলেন, পূর্বেই ইউনিয়নের অনেকেই প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা থেকে বঞ্চিত ছিল।
পরিষদের পক্ষ থেকে তালিকা করে খোঁজখবর নিয়ে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করছি। শাহনাজের অবস্থাও তার ব্যতিক্রম নয়। শাহনাজও ভাতা পাবে। বাঁশখালী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, শাহনাজ আক্তারকে ভাতা প্রদানের জন্য নাম অন্তর্ভূক্ত করে কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ