শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

গোবিন্দগঞ্জের লিমন হত্যার রহস্য উদঘাটন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দীর্ঘ একমাস পর চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র লিমন হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
লিমন উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের শীতলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সে শীতল গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় লিমনকে খুনের শিকার হতে হয়েছে।
জানা গেছে, ঘাতক নূর আলম লিমনের পা চেপে ধরে, তৌফিক লিমনের অন্ডকোষ কাটে ও ঘাতক হারুন লিমনকে ছুরি চালিয়ে হত্যা  করে।
ঘটনার প্রায় একমাস পর নির্মমভাবে খুন হওয়া লিমন হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। হারুন নামের বখাটে প্রায়ই উত্যক্ত করত লিমনের বড় বোনকে। আর সেই ইভটিজিংয়ের বিষয়টি লিমন তার বাবা-মাকে প্রায়ই বলে আসত।
এতে হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে লিমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর হারুন তার বন্ধু তৌফিক প্রধান, সাজু, নুর আলম ও পাপুল প্রধান একত্রিত হয়ে এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় মেতে উঠে।
হত্যার সময় ঘাতক নূর আলম ও সাজু মিয়া শিশু লিমনের হাত পা চেপে ধরে, তোফিক লিমনের অন্ডকোষ কাটে পরিশেষে হারুন লিমনের গলায় ছুরি চালিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। শনিবার পুলিশ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- একই গ্রামের লেবু মন্ডলের ছেলে হারুন অর রশিদ, আব্দুল মজিদের ছেলে সাজু মিয়া, বেলাল হোসেনের ছেলে নূর আলম, আব্দুর রশিদের ছেলে তৌফিক ও রফিকুল ইসলামের ছেলে পাপুল। উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট লিমন প্রধান সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরের দিন সকালে ওই গ্রামের পচাঁরভিটা নামক একটি জঙ্গল থেকে লিমনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ