রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

নীলফামারীর ছাড়ারপাড় উচ্চ বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত

নীলফামারী সংবাদদাতা : শ্রেণি কক্ষের সংকট, চেয়ার-বেঞ্চ স্বল্পতা, জরাজীর্ণ ও ফুটো শ্রেণি কক্ষের টিন, দরজা-জানালা হীন শ্রেণিকক্ষসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত নীলয়ামারী সদর উপজেলার ছাড়ার পাড় উচ্চ বিদ্যালয়। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
১৯৯৪ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টি সরকারি অনুমোদন লাভ করে ১৯৯৬ সালে। ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে পরিচালিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫১ জন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টির জে,এস,সি ও এস,এস,সি পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলাও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও জেলা পযায়ে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে বিদ্যালয়টি। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যালয়টির নানাবিদ সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে।
শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে শ্রেণিকক্ষ গুলো তৈরী করার পর থেকে আর কোন সংস্কার না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষের টিনগুলো জরার্জিণ হয়ে ফুটো হয়ে গেছে। বর্ষার সময় টিন দিয়ে পানি পড়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করতে পারেন না। বারান্দা না থাকায় এ সময় শ্রেণিকক্ষের প্লাষ্টারহীন মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়ে। শ্রেণিকক্ষের দরজা-জানালা ভেঙ্গে পড়ায় রাতে ও বিদ্যালয় বন্ধের সময় গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন জীব-যন্তু প্রবেশ করে শ্রেণিকক্ষ নোংরা করে থাকেন। বিদ্যালয়টিতে নেই একাডেমি ভবন, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কমনরুম. বিদ্যুত সংযোগ ও পর্যাপ্ত শৌচাগার। ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র একটি নলকূপ। বিশেষ করে বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব না থাকায় এই দুই বিষয়ের শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। এদিকে বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক স্তর স¦ীকৃতিপ্রাপ্ত হলেও এই স্তরের ৫জন শিক্ষক-কর্মচারী র্দীঘদিন ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
শিক্ষার্থীরা জানান শ্রেণিকক্ষ সংকট বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব না থাকাসহ নানা সমস্যার কারণে তাদের পড়াশুনা ব্যহত হচ্ছে। শ্রেণি শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও হালিমা খাতুন জানান বর্ষার সময় শ্রেণিকক্ষের জরার্জিণ ফুটো টিন দিয়ে পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বলেন বিদ্যালয়টি প্রত্যন্ত ও দরিদ্র পীড়িত জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের একমাত্র লেখাপড়ার ভরসা এই বিদ্যালয়টি। তাই বিদ্যালয়টির সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ