শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২

৩০ আগস্ট, হিন্দুস্তান টাইমস : ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় এই সংঘর্ষ ঘটে। সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

কাশ্মীরে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সরাসরি স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত। কেউ কেউ আবার কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে। ইতিহাস পরিক্রমায় ক্রমেই সেখানকার স্বাধীনতা আন্দোলনের ইসলামিকরণ হয়েছে। এখন সেখানকার বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিন সবচেয়ে সক্রিয়। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরের জাতিমুক্তি আন্দোলনকে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী তৎপরতার থেকে আলাদা করে শনাক্ত করে না। সন্দেহভাজন জঙ্গি নাম দিয়ে বহু বিদ্রোহীর পাশাপাশি বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।

পুলিশ দাবি করে, বৃহস্পতিবারে সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি টহল বাহিনীর ওপরে হাজিন পারা মহল্লা থেকে গুলী চালানো হয়। জবাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও গুলি চালায়। তখনই বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এর আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় বুধবার সকালে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেদুইজন নিহত হয়েছিলো। গেরিলাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর অভিযানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয়রা। তরুণরা পাথর ছুঁড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ তরুণদের উদ্দেশে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপসহ পেলেটগান ব্যবহার করে ভারতীয় বাহিনীর সদস্যরা।  আবিদ রশিদ ভাট নামে এক প্রতিবাদী তরুণ পেলেটগানের ছররা গুলিতে আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-এ ধারা রক্ষার দাবিতে এবং ওই ধারায় রদবদলের চেষ্টার প্রতিবাদে কাশ্মীরে সর্বাত্মক বনধ পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বনধের ফলে সেখানকার জনজীবন সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে।

এক বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ৩৫-এ ধারা বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর পর থেকে ওই ইস্যুতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ওই ধারার বলে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা বিশেষ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। 

কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে হুররিয়াত কনফারেন্সের একাংশের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ ওমর ফারুককে গৃহবন্দী করেছে।

বনধকে কেন্দ্র করে কাশ্মীর উপত্যকার সমস্ত দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

হুররিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক, জেকেএলএফ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইয়াসীন মালিকের সমন্বিত যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বনধের আহ্বান জানানো হয়। বনধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গোটা কাশ্মির উপত্যকাজুড়ে রেল চলাচল বন্ধ রেখেছে।

কর্তৃপক্ষ নৌহাট্টা, এম আর গঞ্জ, রায়নাওয়াড়ি, খানইয়ার এবং সাফাকদল থানা এলাকায় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা এবং ক্রালখুদ ও মৈসুমা থানা এলাকায় আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ