সোমবার ১৩ মে ২০২৪
Online Edition

ভোলায় ঘুমন্ত স্কুলছাত্রী আয়েশা এসিডদগ্ধ

চরফ্যাশন (ভোলা) সংবাদদাতা : সহপাঠী কয়েকজন প্রেমে ব্যর্থ ও ক্ষুদ্ধ হয়ে শশীভুষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা বেগমকে প্রেমিক তমাল, আইমন, জুলহাস, খালেদ, বারিক, রাকিবসহ এসিড নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার ভোর রাত আনুমানিক ৪টার দিকে দাদী আফরোজা বেগমের (৮০) সাথে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় আয়েশাকে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। শশীভুষণ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের সোমবার গ্রেপ্তার করার পর গতকাল মঙ্গলবার তাদের চরফ্যাশন আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক শিবলী নোমান  তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন ।   
শশীভুষণ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সিকদার আরো জানান, চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শশীভুষণ গ্রামের হাজীপাড়া রোডের বাবুল পন্ডিতের মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় কে বা কারা এসিড নিক্ষেপ করে মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দিয়েছে এমন সংবাদে তদন্ত অব্যাহত রেখে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভোলা, সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আয়েশার জবানবন্দী গ্রহণ করে  সন্ধ্যায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তমাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পরে গ্রেপ্তারকৃতরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভোলা ও সহকারী পুলিশ সুপার চরফ্যাশনকে জানান, আয়েশা বেগম (১৪) জুলহাস ওরফে  মিরাজ ছাড়াও তমাল ওরফে ইসমাইল ও আইমনসহ অন্যদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। জুলহাস বাদে অন্য প্রেমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর এসিড নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান।
এসিডদগ্ধের শিকার আয়েশা বেগমের ভাই রাসেল (২২) এর সাথে কথা বললে তিনি  প্রেমঘটিত কারণে এসিডদগ্ধের কথা অস্বীকার করেন।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক জানান, আয়েশার শরীরের মুখমন্ডলসহ  ৩৫ শতাংশের ক্ষতি হয়েছে। তাকে দ্রুত ঢাকায় বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ