ঢাকা, রোববর 19 May 2024, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন বনদস্যু নিহত

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:

খুলনায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুন্দরবনের কালু বাহিনীর প্রধান আবু সাইদ ওরফে কালুসহ তিন বনদস্যু নিহত হয়েছেন। সেই সাথে পুলিশের আট সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে কয়রা উপজেলার ময়দা পেশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, দুটি দেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে অপহৃত চারজন জেলেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কালু বাহিনীর প্রধান আবু সাইদ ওরফে কালুসহ নিহত বাকি দুজন হলেন আকবর আলী গাজী ও শহিদুল মল্লিক।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, বনদস্যু কালু বাহিনী তিন দিন আগে জেলে হাবিবুর ফকির, বাবু, ফরিদুল গাজী ও মজিবুর গাজীকে মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবন থেকে অপহরণ করে। তাদের উদ্ধারে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ময়দা পেশা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

খুলনা জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান জানান, পুলিশ ও বনদস্যুদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শেষে দস্যুদল পিছু হটে। এ সময় পুলিশ বনের মধ্যে ধাওয়া করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বনদস্যু কালু, আকবর ও শহিদুলকে আটক করে। সেই সাথে তাদের আস্তানা থেকে আহত অবস্থায় অপহৃত চার জেলেকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য এসআই রাজিউল আমিন, কিশোর কুমার ও গোলাম আজম, এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান এবং কনস্টেবল  হারিজ মোল্লা, শওকত হোসেন, সামাদ ও মোখলেচুর রহমান আহত হন।

পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ তিন বনদস্যুসহ আহত পুলিশ সদস্য ও অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করে জায়গীর মহল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ বনদস্যুদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তিন বনদস্যুর বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে শহিদুল ২০১৬ সালে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু পরে কালু বাহিনীতে যোগ দিয়ে পুনরায় ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ