রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

এবারও কেসিসিতে যাকাতের শাড়ি-লুঙ্গির দরপত্র যুবলীগ নেতাদের ভাগ বাটোয়ারা

খুলনা অফিস : খুুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) পক্ষ থেকে বিতরণের জন্য যাকাতের শাড়ি ও লুঙ্গি কেনার দরপত্র ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা। গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনে পাহারা বসিয়ে প্রায় ৭৬ লাখ টাকার দরপত্র ভাগ করে নেন তারা। যুবলীগ নেতাদের বাঁধায় সাধারণ ঠিকাদাররা কেউ দরপত্র জমা দিতে পারেননি। দু’টি গ্রুপে শাড়ি ও লুঙ্গি কেনার জন্য ১৯টি সিডিউল বিক্রি হলেও জমা পড়েছে মাত্র ৩টি করে।
এদিকে দরপত্র প্রদানে বাঁধা দেয়া নিয়ে যুবলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় লাঞ্ছিত হয়েছেন মহানগর যুবলীগের সদস্য জাহিদুল ইসলাম খলিফা। গতকাল দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাকে মারধর করা হয় এবং জামাকাপড় ছিড়ে ফেলা হয়।
সাধারণ ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, গত কয়েকবছর ধরে যাকাতের শাড়ি ও লুঙ্গির দরপত্র ভাগবাটোয়ারা করা হচ্ছে। গত ১৫ মে কেসিসি নির্বাচনের আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক বিজয়ী হলে এসব টেন্ডারবাজি বন্ধ করার ঘোষণা দেন। নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু এবারও মহানগর যুবলীগের নেতা ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন কাউন্সিলর মিলে একই কাজ করেছেন। বঞ্চিত হয়েছে প্রকৃত ঠিকাদাররা।
কেসিসির ভান্ডার শাখা থেকে জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে শাড়ি ও লঙ্গি কেনার জন্য ২৫ মে দুটি গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ১৭ হাজার ২৫ পিস শাড়ি এবং ৪ হাজার ৫০ পিস লুঙ্গি কেনার সিডিউল বিক্রির শেষ দিন গত ৪ মে। নির্ধারিত সময়ে দুটি গ্রুপে ১৯টি সিডিউল বিক্রি হয়। গতকাল মঙ্গলবার দরপত্র বাক্স খোলার সময় ভেতরে দুটি গ্রুপে তিনটি করে ৬টি সিডিউল পাওয়া যায়।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় নগর ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, নগর ভবনের চতুর্থ তলায় দরপত্র জমা দেওয়া বাক্সর সামনে যুবলীগ নেতাদের জটলা। পাশে পুলিশ থাকলেও তারা দর্শকের ভূমিকায়। মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ৫ জন নেতাকে ওই স্থানে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর ময়লাপোতা ও শেখপাড়া এলাকার বেশকিছু যুবলীগ কর্মী পাহারা দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দু’জন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, গত রাতেই তাদের ভয় দিয়ে সিডিউল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের সিডিউল নেওয়া হয়নি, তারাও ভয়ে জমা দিতে যাননি।
কেসিসির স্টোর সুপার শেখ মহিউদ্দিন হোসেন বলেন, দু’টি গ্রুপে তিনটি করে দরপত্র জমা পড়েছে। দুটি গ্রুপেই সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছেন মেসার্স এস এইচ এন্টারপ্রাইজ। দরপত্র জমা দিতে বাঁধা বা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ কেউ করেনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ