শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

নির্ধারিত সময়েই হবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠক: ট্রাম্প

২ জুন, রয়টার্স : উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নির্ধারিত সময় ও স্থানেই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার উত্তর কোরীয় নেতার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের এই কথা জানান।

পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও ২৪ মে উনের সঙ্গে বৈঠকটি বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে উত্তর কোরিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব হতাশা প্রকাশ করে। এরপর শুক্রবার ২৫ মে ট্রাম্প ১২ জুন তারিখেই সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে নতুন করে ইঙ্গিত দেন। ২৬ মে আকস্মিক বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা। ২৭ মে সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, সম্ভবত এই বৈঠক খুবই সফল আর চুড়ান্তভাবে সফল প্রক্রিয়া হতে যাচ্ছে।’ ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করেন সব বিরোধ মেটাতে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘আমি খোলাখুলিভাবে বলছি, আপনারা সময় নিন।’

২০০০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হোয়াইট হাউস সফর করেছিলেন। তারপর কিম ইয়ং চোলই বড় কোনও কর্মকর্তা যিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করলেন। চোল কিমের একটি চিঠি ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

গত বছর ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কিমের সঙ্গে বাকবিত-া শুরু হয়। তারা একে অপরকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি অপমানসূচক মন্তব্যও করেন। তারপরই দেশ দুটি তাদের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ট্রাম্প পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার জন্য এই বৈঠকে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চান।

উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে পরমাণু কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায়ও সফলতার দাবি করে আসছে। মূলত এ বিষয়টি নিয়েই দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ট্রাম্প চান, উত্তর কোরিয়া যাতে এমন কোনও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে না পারে যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতে পারবে। এজন্য তিনি উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার নেতারা পরমাণু অস্ত্রকে নিজেদের টিকে থাকার উপায় হিসেবে দাবি করে আসছে। এমনকি একতরফা অস্ত্র প্রত্যাহার করা হবে না বলেও জানিয়েছে দেশটি।

ট্রাম্প শুক্রবার বলেন, ‘আমি সেই দিনের প্রত্যাশায় আছি যেদিন উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারবো।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ