রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

সানমার গ্রুপের মালিকানা হারানোর শঙ্কা মেজর মান্নানের

 

স্টাফ রিপোর্টার : সাংবাদিক সম্মেলনে একজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে নিজের মালিকানা হারানোর শঙ্কা করছেন সানমার গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে শঙ্কার কথা তুলে ধরেন তিনি।

 মেজর মান্নান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সানমার গ্রুপ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। ২০১৫ সাল থেকে একটি কুচক্রিমহল পুঁজিবাজার থেকে এই প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ার কিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশক্রমে দুই জন পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়, যা আইনসম্মত ছিল না। অতঃপর সেই মহলটি বাকি ৯৫ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার পরিচালকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সমস্ত পরিচালনা পর্ষদ দখল করে নেয়। এরপর থেকেই তারা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নানা কৌশলে প্রতিষ্ঠানটিকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালায়। এতে করে আমি আমার মালিকানা হারানোর আশঙ্কা করছি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারী হাজার হাজার শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগও চরম অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হওয়ার ফলে তারা বেশ হতাশায় ভুগছে।’

কিছু কিছু পত্রিকা স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমি ওই সংবাদগুলোর প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছি, কিন্তু তারা তা ছাপেননি। এতেই প্রতিয়মান হয় যে সংবাদগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা মাধ্যমে সত্যটি চাপা দেওয়া হচ্ছে।’

অজানা কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও পদেক্ষেপ নেওয়া হয়নি এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই জটিল পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিতরণকৃত ঋণের উচ্চ হার সুদের পরিবর্তে কস্ট অব ফান্ড অনুসারে আদায়ের ব্যাপারে প্রস্তাব করি। এতে তিনি মৌখিক সম্মতি দেন। কিন্তু  আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।’

মেজর মান্নান আরও বলেন, ‘আমার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১২০ কোটি টাকা আদায় সম্ভব হলেও বাকি টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এই প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শেয়ার হোল্ডাররা মনে করেন, যেহেতু এই পরিচালনা পর্ষদ মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক ফলে প্রতিষ্ঠানের বাঁচা মরা তাদের বিবেচ্য নয়। কারণ তারা ক্ষণিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ তাদের কাছে গৌণ। আমি সম্ভাব্য সব পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই এই প্রতিষ্ঠানটি একটি সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠান। এর দায়ের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় চাইলে এই প্রতিষ্ঠানটি অচিরেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ