মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
Online Edition

অবসরের পাঁচ বছর পরও প্রাপ্য বঞ্চিত বিজেএমসির সহস্রাধিক কর্মকর্তা

চট্রগ্রাম ব্যুরো : অবসরের পর সারাজীবনের সঞ্চিত প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাসহ অন্যান্য পাওনা গত পাঁচ বছরেও পায়নি রাষ্ট্রয়াত্ব সংস্থা বিজেএমসির সহস্রাধিক কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধনে নিজেদের করুণ জীবনের ইতিকথা বলতে গিয়ে অনেক কর্মকর্তা কেঁদে ফেলেন। মানববন্ধন পরবর্তী বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেন, গত ১ জুলাই ২০১৩ হতে আমিন জুট মিল, গুল আহম্মদ জুট মিল, বাগদাদ ঢাকা কার্পেট ফ্যাক্টারী, গালফ্রা হাবিব লিঃ, আর আর জুট মিল, এম এম জুট মিল, কেএফটি এর ৯৯২ জন শ্রমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিজেদের অবসরকালীন প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুয়েটিসহ অন্যান্য পাওনা বঞ্চিত। অবসরের ত্রিশদিনের মধ্যে এই সব পাওনা পরিশোধের নিয়ম হলেও পাঁচ বছরেও তা প্রদান করা হয়নি। অবসর যাওয়ার পর অভাব অনটনে আমিন জুট মিলের হিসাব রক্ষক মোবিনুল হক চৌধুরী ২০১৫ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তার স্ত্রী মিলি মোবিন মানব বন্ধনে উপস্থিত হয়ে নিজের করুণ জীবনের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, সারা জীবন আমার স্বামী তিলে তিলে নিজের বেতন ভাতার অর্থ প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করেছেন। অবসরের দুই বছর পরেও সেই টাকা না পেয়ে অভাবের তাড়নায় চিকিৎসা বিহীন মৃত্যুবরণ করেন। এখন আমার পরিবারটি অসহায়।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা সারাজীবন রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাটকল সংস্থায় কাজ করে এখন নিঃস্ব দিনহীন জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সরকার আমাদের সঞ্চিত অর্থসহ অন্যান্য পাওনা আগামী এক মাসের মধ্যে পরিশোধ না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় নাই। নিজেদের অবসর জীবনে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. ফিরোজ আহম্মদ চৌধুরী, সদস্য সচিব, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, আমিন জুট মিল সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা, ঢাকা বাগদাদ কার্পেট কর্পোরেশনের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসাদ কর্মকার প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ