রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

ফটিকছড়িতে ১২ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার

ফটিকছড়ির (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার  অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল লতিফ  ও পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত)  মোঃ হেলাল উদ্দিন ফারুকী  এর নেতৃত্বে ভূজপুর থানার  এস.আই মোঃ আনিসুর রহমান  (সেকেন্ড অফিসার) সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ১০ এপ্রিল বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ১২ জন আসামী আটক করেন। আটককৃত আসামীরা হলেন, আসামী ১) আজম, পিতা-নুর উদ্দিন, ২)  আজম, পিতা-নবিদুর রহমান ৩) কবির, পিতা-জেবল হোসেন,  ৪। নাজিম, পিতা-দুলা মিয়া, সর্বসাং-শোভনছড়ি ৫) হাফেজ আহাম্মদ, পিতা-মৃত সৈয়দ নেছার, সাং-পশ্চিম সুয়াবিল, ৬। মোঃ হোসেন, পিতা-খলিলুর রহমান, সাং-নুনুপুর, ৭) জামাল হোসেন, পিতা-বাবুল, ৮) কালাম, পিতা-হানিফ, উভয় সাং-মোহাম্মদ পুর, ৯। মোঃ রুবেল, পিতা-নুরুল কবির, ১০। হারুনঅর রশিদ, পিতা-বশির আহাম্মদ, সাং- নবীনগর, ১১) আব্দুর রহমার, পিতা-আমির হোসেন, সাং-গিলতলী, ১২) শাহ জাহান, পিতা-মৃত ইসহাক সওদাগর, সাং-দাঁতমারা। তাদেরকে ভূজপুর থানার বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্রাক চাপায় শিশু নিহত

ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন বাগান বাজার ইউনিয়নের রামগড়- করেরহাট সড়কের চিকনছড়া বাজার এলাকায়  ট্রাক চাকায় পিষ্ট হয়ে মায়মুনা (৭) নামের এক মাদরাসা ছাত্রীর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। সে বাগান বাজার ইউনিয়নের লালমাই চিকনছড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের একমাত্র কন্যা সন্তান। এবং স্থানীয় এমদাদুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা ট্রাক মায়মুনাকে চাপা দিয়ে  পালিয়ে যায়। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। খবর পেয়ে দাঁতমারা ফাঁড়ি পুলিশ  তার মৃত লাশ উদ্ধার করে।

 ভয়াভহ অগ্নিকা- 

ফটিকছড়ি উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় ভয়াভহ অগ্নিকা-ে ৭টি বসতঘর পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে নাথ পাড়ায় এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস ককর্তৃপক্ষ জানায়, খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এতে সাতটি ঘর ভস্মীভূত হয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাথমিক ধারণা মতে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত্র হতে পারে।

১৪ বালু মহাল বিলুপ্ত ঘোষণা

উপমহাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পরিবেশ রক্ষায় হালদা নদীর ফটিকছড়ি অংশের ১৪ বালু মহালসহ ১৭টি বালু মহাল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বালি উত্তোলনের কারণে ড্রেজারে আঘাতে একের পর এক ডলফিন ও মা মাছ মৃত্যুর কারণে প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা প্রদান করেন। ‘হালদা নদী সংশি¬ষ্ট বালু মহালসমূহ বিলুপ্ত ঘোষণা প্রস্তাব অনুমোদন’ শীর্ষক পত্রে এ অনুমোদন দেয়া হয়। মা মাছের মৃত্যু ছাড়াও হালদা নদীতে ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৯টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়। এ প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় বালু মহালসমূহ বিলুপ্ত ঘোষণা করে। বালু মহাল বিলুপ্ত ঘোষণার অনুমোদনপত্রে বলা হয়, ‘হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার স্বার্থে সংকটাপন্ন বাসস্থান হিসাবে চিহ্নিত হওয়া এবং চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের পরিচালকের হালদা নদীর পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা রক্ষার সুপারিশের প্রেক্ষাপটে হালদা নদীতে স্থিত ১৭টি বালু মহাল বিলুপ্তির প্রস্তাব এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৯ (৪) ধারায় বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম মহোদয় শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছেন।’ শর্তের মধ্যে আছে, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়, মহামান্য হাইকোর্ট/সুপ্রিম কোর্ট, বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালত অথবা অন্য কোনো যোগ্য আদালত প্রদত্ত নির্দেশনার পরিপন্থী কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এ বর্ধিত ৯ (৫) ও ৯ (৬) ধারা মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের তিন উপজেলা ফটিকছড়ি, রাউজান ও হাটহাজারীর মধ্যদিয়ে হালদা নদী প্রবাহিত হয়েছে। বিলুপ্ত ঘোষিত ১৭টি বালু মহালের মধ্যে ১৪টি ফটিকছড়ি ও ৩টি রাউজানে পড়েছে।

বিলুপ্ত ঘোষিত ফটিকছড়ি অংশের বালু মহালগুলো হল যোগিনীঘাট বালু মহাল, পাঁচপুকুরিয়া ব্রাক্ষ্মণচর হালদা নদী বালু মহাল, একখুলিয়া বালু মহাল, হালদা নদী আজিম চৌধুরীঘাট বালু মহাল, হালদা নদী দক্ষিণ ধুরুং বালু মহাল, নতুন ব্রিজ হালদা নদী বালু মহাল, ছিলোনিয়া খালের মুখ হতে ধুরুং খালের মুখ পর্যন্ত বালু মহাল, ধুরুং খালের ওপরে ও নিচে বালু মহাল, হালদা নদী বালু মহাল ১নং থেকে ৫নং পর্যন্ত। হালদা নদী গোলাপুকুর বালু মহাল। 

বালির উত্তোলনের মেশিন ধ্বংস

ফটিকছড়ি অবৈধ একটি বালির মহলে অভিযান চালিয়ে বালি উত্তোলনের মেশিন পুড়িয়ে দিয়েছে নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট। উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের সত্তার খালের অবৈধ বালির মহলে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট আবু হাসনাত মুহাম্মদ শহিদুল হক। এ সময়  তিনি অবৈধ বালি উত্তোলনের মেশিন ও পাইপ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন। নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট এর উপস্থিতি দেখে অবৈধ বালি উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়।

অবৈধভাবে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সত্তার খাল থেকে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিলেন বলে জানা গেছে। 

সর্তা খাল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে বালি উত্তোলনের মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করে তা বন্ধ করে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে বিকেল অভিযান পরিচালনা করেন বালি উত্তোলনেন মেশিন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে কেউকে না পাওয়া না যাওয়াতে কোন জরিমানা করা হয়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ