রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

খুলনায় বোরো আবাদে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ন্যায্যমূল্য পাওয়ার শঙ্কায় কৃষকরা

খুলনা অফিস: খুলনা জেলায় বোরো আবাদে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ। 

যদিও গেল বছরের তুলনায় কৃষি শ্রমিক ও বীজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার বোরো উৎপাদন খরচও বেড়েছে। 

ফেব্রুয়ারির বৃষ্টি চাষাবাদের পানির চাহিদা মেটাতে না পারায় কৃষকের খরচের খাতটা আরও ভারি হয়েছে। সব খরচ পুষিয়ে ন্যায্যমূল্য পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে কৃষক।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলায় এবার ৫১ হাজার ৮শ’ ২৪ হেক্টর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৫৮ হাজার ৫শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। নয়টি উপজেলার মধ্যে ডুমুরিয়ায় ২১ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে এবার। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৩শ’ ২০ মেট্রিক টন। এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে অধিক উৎপাদনে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

কয়রা মদিনাবাদ এলাকার কৃষক মো. মিন্টু জানান, লবণাক্ত এলাকায় গিরি ৬৭ এবং বিনা ধান-১০ উপযুক্ত জাত। 

গত বছরের তুলনায় এবার এসব জাতের বীজের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেশি ছিল। আবার সেচের পরিমাণটাও বেশি ছিল। কৃষি শ্রমিকের মজুরি গতবারের তুলনায় প্রতিদিন ৫০ থেকে একশ’ টাকা বেশি। কিন্তু সরকার যে দামে ধান ক্রয় করে তাতে কিছুই থাকে না।

দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানান, গতবারের তুলনায় এবার এ এলাকায় বোরো আবাদ তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার প্রধান কারণ হলো এনএডিপি প্রকল্প। এ প্রকল্পের কারণে কৃষকরা বিনামূল্যে বীজ পেয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে এবার আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

দাকোপ বাজুয়া এলাকার কৃষক ফনিভূষণ মন্ডল জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করছি।

ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল এলাকার কৃষক মো. মোফিজুর রহমান জানান, এবার বোরো আবাদ ভাল হয়েছে। কিন্তু দাম কম হতে পারে। সব জিনিসের দাম বাড়ে আর কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের দাম কমে।

পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের কৃষক সাইফুল মোড়ল জানান, এবার সম্পূর্ণ সেচের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে চাষিদের। যদিও বোরো চাষ সেচ নির্ভর। তারপরও এবার বৃষ্টি কম ছিল। এছাড়া কৃষি শ্রমিক ও বীজের মূল্য বেশি থাকায় এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সে কারণে বোরোর ন্যায্যমূল্য পাবেন না বলে মনে করেন তিনি।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ জানান, এবার বোরো আবাদ ভাল হয়েছে। পোকা আক্রমণ না থাকলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার হবে। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি হলে বোরো চাষের জন্য ভাল হবে। 

আশা করছি কৃষক ন্যায্যমূল্যে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ