৮ গুণী ব্যক্তিকে স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক প্রদান
চট্টগ্রাম অফিস : ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও গুণী ব্যক্তিকে স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক প্রদান করেছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২৬ মার্চ সোমবার, বিকেলে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য সাবের আহমেদ আসগারি, সাংবাদিকতায় অঞ্জন কুমার সেন, শিক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আহমদ ইকবাল হায়দার, চিকিৎসায় প্রফেসর এল এ কাদেরী, নারী আন্দোলনে ফাহমিদা আমিন (মরনোত্তর), সমাজ সেবায় বিশিষ্ঠ শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদ এবং ক্রীড়ায় এডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী কে স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মিসেস নাজিয়া শিরিন, উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী, অঞ্জন কুমার সেন, প্রফেসর এল এ কাদেরী, আহমদ ইকবাল হায়দার, এডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী এবং সাবের আহমেদ আসগারির পক্ষে তার কন্যা সানজিদা আহমেদ।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামবাসী গুণীজনদের উপযুক্ত মূল্যায়ন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মর্যাদা সমুন্নত রাখতেই চসিক প্রতিবছর স্বাধীনতা পদক প্রদান করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরল অবদানের জন্য এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কারণে চট্টগ্রাম এর গুরুত্ব নানাদিক থেকে বেশি। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর একটি দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে এ সময়ের মধ্যে দেশ আরো সামনে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু নানাভাবে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি, বিভক্তি ও বিভাজন এর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। তিনি জাতীয় স্বার্থে পরচর্চা, পরনিন্দা এবং পরের সমালোচনা পরিহার করে আত্মসমালোচনায় অভ্যস্ত হয়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালনার বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা, সাধারণ নৃত্য, দেশের গান, উপস্থিত বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।