রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

ইনসাফ ভিত্তিক খেলাফত শাসন কায়েম হলেই জাতি স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারবে -মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জাতিকে অবগত করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধ একক কোন ব্যক্তি, দল বা গোষ্টির অর্জন নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের যেমনি অবদান ছিলো তেমনি অবদান ছিলো মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীস সহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরামের । কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস আড়াল করে হাফেজ্জী হুজুরসহ ওলামায়ে কেরামকে ঢালাও ভাবে স্বাধীনতা বিরোধী বানানোর হীনচেষ্টা চলছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের যে ভুমিকা ছিল তা জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে।
গতকাল সোমবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা হাজী ফারুক আহমাদ, মহাসচিব মাওলানা হাবিবুরøাহ মিয়াযী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সুলতান মুহিউদ্দিন, দফতর সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ ও মাওলানা হাফেজ আবুুল কাসেম প্রমুখ।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী জালেম বাহিনী পরাজিত হলেও দেশে জুলুম, শোষণ, দুর্নীর্তি, হত্যা, নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সকল জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতা রক্ষায় দেশ প্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাতিলের মোকাবেলা করতে হবে এবং দেশে ইনসাফ ভিত্তিক খেলাফত শাসন কায়েম করে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
শরীয়তপুর জেলা: শরীয়তপুর জেলা খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে শরীয়তপুর শহরে এক আলোচনা সভা ও জেলা কমিটির কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা আহবায়ক মাওলানা খন্দকার শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকাস্থ তাতীবাজার মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুশতাক আহমাদ, শরীয়তপুর উলামা পরিষদ সভাপতি মাওলানা শফিউল্লাহ খান, উসমানিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু বকর, গোসাইরহাট দারুল ঊলূমের মুহতামিম মাওলানা মুহিউদ্দীন ও কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি আকরাম হুসাইন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও আদর্শ হচ্ছে জুলুম-নির্যাতন, শোষণ-দুর্নীতি, বৈষম্য ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি। মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, সাম্য ও ন্যায়বিচার কায়েম করা। দু:খজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও স্বাধীনতার মূললক্ষ্য আজও বাস্তবায়িত হয়নি। তাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত  চেতনাকে ধারণ করে  শোষণ, বঞ্চনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ছিল না। ৫২ ও ৫৪ এর আন্দোলন, একুশ দফা, ছয় দফা, এগার দফা ও ৭০ এর নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল না। অতএব, ধর্মনিরপেক্ষতা কোনক্রমেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হতে পারে না। আজকের দিবসে ইসলামী হুকুমত কায়েম করে জনগণের নাগরিক ও মৌলিক অধিকার আদায়ের শপথ নিতে হবে এবং সে লক্ষ্যে খেলাফত আন্দোলনের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে হবে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনায়  দোয়ার মাধ্যমে আলোচনা সভা ও কাউন্সিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।  প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ