মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পাঁচ বছরে ৭০৫৬ জন ‘অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় ভারত

স্টাফ রিপোর্টার : গত পাঁচ বছরে ভারত থেকে ৭ হাজার ৫৬ জন ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ নাগরিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক ৫,২৩৪ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে দেশে পাঠানো হয়। ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরিন রিজিজু এর বরাত দিয়ে এ রিপোর্ট করেছে বাংলাদেশের ইংরেজী সাপ্তাহিক হলিডে। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এতো বিপুলসংখ্যক নাগরিককে কবে, কোথায়, কীভাবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে? এই হস্তান্তর প্রক্রিয়াটা কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে? বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার বিষয়ে তাদের সত্যায়নই বা করেছে কে?
হলিডে’র ‘ইন্ডিয়া হ্যাস নো প্লান টু ডিপোর্ট বাংলাদেশী’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারতের অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসনের জন্য বাংলাদেশের সাথে কোন নির্দিষ্ট দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নেই।
জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) আপডেট হওয়ার পর থেকে, প্রতিবেশী দেশে ফিরে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সাথে একটি চুক্তির অভাবে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ প্রত্যাহারের সম্ভাবনাকে ব্যাহত করতে পারে।
গত সপ্তাহে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি সই করার কোন প্রস্তাব নেই।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজ্যসভায় প্রত্যাবষর্ণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। এতে তিনি বলেন, সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের বিবরণ, জাতীয়তা যাচাইয়ের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়। তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত হওয়ার পর এই ধরনের অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হয় এবং নিজ নিজ দুতাবাস কর্তৃক ট্রাভেল ডকুমেন্ট জারি করা হয়। অবৈধ অভিবাসীদের আটক এবং নির্বাসন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
এক প্রশ্নের জবাবে, মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশনটি ভারত অনুস্বাক্ষর করেনি। শরণার্থী খোঁজার জন্য ভারতে অবস্থান করা বিদেশীদের খোঁজে বের করার জন্য কোন নির্দিষ্ট জাতীয় আইনও নেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ