বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

রূপগঞ্জে রফিককে হুকুমের আসামী করে মামলা

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ ত্রীমুখী সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী সুমন নিহত ও আহতের ঘটনায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিককে হুকুমের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যে রাতে নিহত সুমন মিয়ার শাশুড়ি কাজল রেখা বাদী হয়ে ১৭ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাজে বাধা, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে ৩৮ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত প্রায় ২ হাজার অজ্ঞাত লোকের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির। পৃথক ঘটনায় ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি, জামাত-শিবির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হাবিবনগড় এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে ৫০০ গজের মধ্যে অবস্থান কর্মসূচি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের রূপ নেয়। পরে তাদের দুই পক্ষ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে সুমন মিয়া নিহত হন এবং পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। 
মামলার বাদী ও নিহত সুমনের শাশুড়ি কাজল রেখা জানান, তার বাড়ি উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায়। গত আট বছর আগে মেয়ে ফারজানার সঙ্গে পার্শবর্তী গন্ধর্বপুর এলাকার সুমন মিয়ার বিয়ে দেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে রায়হান নামে একটি ছেলে সন্তান হয়। বর্তমানে রায়হান স্থানীয় রুপায়ন কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। আর ফারজানা জীবিকা নির্বাহের তাগিতে বর্তমানে জর্দ্দানে রয়েছেন। সুমনকে হারিয়ে সুমনের বাবা মনু মিয়া ও মা সাহিদা বেগম প্রায় পাগল হয়ে গেছেন।
এদিকে, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নিহত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুমন মিয়ার জানাযা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাযায় অংশগ্রহণ করেন, নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, সহ-সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান, তাবিবুল কাদির তমাল, কাররুল হাসান তুহিন, মুস্তাফিজুর রহমান শাহিন, কাউন্সিলর মনির হোসেন, ইউপি সদস্য আলম হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুই পক্ষ থেকে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে, রফিক চেয়ারম্যানের ৪ থেকে ৫ জন গাণম্যান ও তার লোকজনরা লোক জনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কাছে থেকে সর্টগান ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে গুলী বর্ষণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী সুমন নিহত হন বলে দাবি করা হয় একটি পক্ষ থেকে। অপর পক্ষ দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে এমপি সমর্থকদের সংঘর্ষকালেই গুলীবিদ্ধ হয়ে সুমন মারা যায়। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ