বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

একান্ত সাক্ষাৎকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম ও মেয়র আব্দুল মালেক

বাগমারা উপজেলা উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি দৈনিক সংগ্রামকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম ও উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বআব্দুল মালেক ম-লের সাথে কথা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম বলেছেন, বাগমারা উপজেলা একটি বৃহৎ উপজেলা। ১৬টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাগমারা উপজেলা। আমি গত বছর ৩ জুলাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। উপজেলার লোক সহজ সরল প্রকৃতির। বর্তমানে বাগমারায় ব্যাপক উন্নয় হয়েছে। তবে কিছু সমস্যার রয়েছে তা আগামীতে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আরো বেশী উন্নয়ন সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে জানান, পল্লি সড়ক গুলো কর্মসংস্থান, অর্থনেতিক আয় সমৃদ্ধতা, জীবিকা ও উন্নতর জীবনেরও অবলম্বন তাই আরো বেশী রাস্তা প্রয়োজন।
বাগমারায় ২২৮ কি.মি. মত পাকা রাস্তা রয়েছে। এর প্রসার আরো প্রয়োজন উপলদ্ধি করে পল্লী উন্নয়ন অবকাঠামোতে বাসুপাড়া ইউনিয়নের হলুদঘর-বাইগাছা দেড় কিলোমিটার রাস্তা ৫৯ লক্ষ টাকা ও গলিপুর ইউনিয়নের মাঝিগ্রাম-একডালা রাস্তা ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া  এডিবি ও ইউডিএফ এর অধীস্থ অর্থ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে সুষ্ঠ ব্যয়ে সম্পন্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উপজেলায় স্থানীয় সরকারের মন্ত্রলায়ের বরাদ্দে গত ২০০৯-২০১৭ সময়ে বাগমারায় ৯২ কিলোমিটার পল্লি সড়ক নির্মাণ হয়েছে। চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী দু-এক বছরে আরো ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া অপর এক প্রশ্নে তিনি জানান, অপরিকল্পিত পুকুর খননে আবাদী জমির পরিমান যেমন কমছে, তেমনি পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাবের আশংকা বাড়ছে।
তিনি বাগমারায় যোগদানের পর কোন পুকুর খননের অভিযোগ পাননি। এক সময়ে নীতিমালা জারির পরও বাসুপাড়া, মাড়িয়া, গণিপুর, বড়বিহানালী ও দ্বীপপুর ইউনিয়নসহ এলাকায় জমির প্রকৃতি পরিবর্তনের করে পুকুর খনন করার ব্যাপারে তিনি অবগত রয়েছেন। এমনকি বাসুপাড়া ইউনিয়নের সগুনা ও বালানগ-গোপালপুরের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের মধ্যে ১৫/১৬টি পুকুর খনন করে পানি বদ্ধতা সৃষ্টি করে চক্রটির একটি অংশ দেউলিয়া-গোপালপুরের স্লুইস গেট বন্ধ করে ওই পানি নামা রাস্তার প্রতিবন্ধকতা করেছে।
ওই খালের পানি নামতে না পেরে এলাকর পানবরজসহ শত শত একর ফসলি জমি অকেজ হয়ে পড়ে আছে। এব্যাপারে পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা ও পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি অভিমত জানান। তিনি উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামারসহ নানা বহুমুখী উন্নয়নের সাথে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে দেশের প্রত্যান্ত এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়ার অংশ হিসেবে বাগমারা উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬টি বাসগৃহ ০.৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত করেছেন। তার দায়িত্বে উপজেলার প্রতিটি দপ্তর নিষ্ঠার সাথে কার্যক্রম চলছে বলে তিনি দাবি করেন। আগামীতে সরকারের উন্নয়ন ধারা বজায় রাখতে উপজেলার দারিদ্র্য বিমোচনসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। 
এদিকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, উন্নয়নের পৌরসভা অনেক পিছিয়ে ছিল। আমি ২০১৫ সালে ৩০ ডিসেম্বর আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে অদ্যাবদি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে উত্তর একডালার-কসবা খালের ব্রীজ নির্মাণ, ভবানীগঞ্জ বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, শিবজাইট হাটে সেট নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেন বলে তিনি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কৃষির উপর নির্ভরশীল এ উপজেলা হলেও এখানে কোন কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা নেই।
এখানে প্রচুর কাঁচা শিল্পের উপদান রয়েছে। প্রচুর সম্পদ রয়েছে সম্পদের ব্যবহার করতে পারলে অফুরান্ত সম্ভবনা রয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠান বা কল-কারখানা শিল্প গড়ে  উঠার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। এক সময় পৌরসভার কোন কোন মহল্লায় কোন পাকা রাস্তা ছিল না। ব্যাপক প্রচেষ্ঠা ও বাগমারার সংসদ সদস্যের সহযোগীতায় অনেক রাস্তা পাকা হয়েছে। তবে কোন কোন পাকা রাস্তা গুলো মেরামতের ব্যবস্থা  প্রয়োজন। তিনি গত মওসুমে ৬ কোটি টাকা ব্যয় করে পৌর এলাকার উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন। এছাড়া আরও দেড় কোটি টাকার কাজ করা হবে বলে তিনি দাবি করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ